পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভানুমতী । ○"を> আবার তঁহাকে দেখিবে, অ’বার তাহার কথা শুনিবে, অতএব তাহাদের আর জানন্দের সীম রহিল না। বজরার মধ্যে প্রবেশ করিলে তাহার বহুমূল্য সজ্জায় প্রথম তাহদের চক্ষে ধাধ: লাগিল। অনাথনাথ তাহদের গয়ে হাত দিয়া কতই আদর করিলেন । তাহার পর তাহার স্ত্রী,—তাহারা ভাবিল, “ইনি কি মানুষ ?” তিনি স্বয়ং লক্ষ্মীপ্রতিম। মাতৃস্নেহ যেন র্তাহার মুখ হইতে জ্যোৎস্নার মত ঝরিতেছে। এমন মুন্দরী, এমন স্নেহশীল, তাহারা কখনও দেখে নাই। তিনি তাহদিগকে একেবারে বুকে লইয়া মুখ চুম্বন করিলেন। দরিদ্র । বেদের ছেলে মেয়েকে এত দূর দয়া, এত দূর স্নেহ কি মাছুষে করিতে পারে ? তাহার পর তাহদের এইটি পুত্র,—সেটি কি ছেলে, ন শরৎকালের প্রভাতকিরণমণ্ডিত কুমুমরাশি ? তাহার সেই আয়ত চক্ষু, সরল স্নেহ-ভরা মুখ, এবং সৰ্ব্বশেষ তাহার সেই মধুর কথা । সে তাঙ্গর পিতার এ টি ক্ষুদ্র প্রতিচিত্রের মত । সে একেবারে ছুটিয়া আসিয়া বালিকার গঙ্গ জড়াইয় তাহার কোলে বসিয়া কত মধুমাখা কথায় তাহার বাজির প্রশংসা করিতে লাগিল। তাহার নাম অমিয় । উভয়ের একই বয়স । শীঘ্র উভয়ের মধ্যে গাঢ় বন্ধুতা জন্মিল । অনাথনাথের পুত্রের খেলার ভাণ্ডাং খুলিয়া গেল। ই শিশু চিরপরিচিত বন্ধুর মত খেলিতে লাগিল। শিশুর মত সরল সমদর্শী বুঝি মহাযোগী ও মন । তাই ধুঝি মহর্ষি খৃষ্ট বলিয়াছেন,— “দেও ওই শিশুদের আসিতে নিকটে মম। স্বৰ্গ রাজ্য তাহদের, যারা শিশুদের সম।” নৌকাতে নানাবিধ খাদ্য ছিল । মনাথনাথের পত্নী বড় আদরে দুটিকে খাওয়াইলেন । তাহদের ছজনের দয়া তাহদের জমিদারিতে প্রধাদের মত প্রসিদ্ধ। তাছার প্রজাদিগকে