পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভানুমতী । । )*ぐ@r চিরজীবন খানলে দলেছি । মাধার দেখে তরাসেতে চাহিলাম/তোর কোলে যেতে, আমারে ত কোলে ভুলে নিলি না – • মা-হারা শিশুটির মত, কেঁদে বেড়াই অবিরত, নয়নের জল মুছায়ে ত দিলি না,— সস্তানেরে ব্যথা দিয়ে, যদি মা, তোর জুড়ায় হিয়ে, ভাল ভাল তাই তবে হোক, অনেক হুঃখ সয়েছি।” বালিকা তাহার করুণকণ্ঠে ভৈরবীরাগিণীর চিত্তবিকরী মূছ না খেলাইয় তাহার মুখের দিকে কাতর ছল ছল বিক্ষিত নয়নে চাহয় “মা” বলিয়া গাইতেছিল। অনাথনাথের পত্নীর হৃদয় মাতৃপ্রেমোচ্ছ্বাসে আকুল হইল । তাহার ফুল্ল-কোকনদসন্নিভ কপোল বহিয়া দুই প্রেমধারা বহতে লাগিল। গীত শেষ হইলে তিনি ছুটয়া গিয়া বালিলাকে বক্ষে লইয়া কাদিয়া বলিলেন,— *মা ! আমি তোর মা ! আমি তোকে বুকে বুকে রাখিব, তোকে মেয়ের মত রাখি, তুই আমাকে ছাড়িয়া যাইতে পারিবি ন৷ ” বালিকাও কঁদিতে লাগিল । - অনাথনাথেরও অশ্রধারা বহিতে লাগিল। বেদে শিশুটিও । সজল চক্ষে তাহার পত্নীকে বলিল,-“মা ! তুমি দিদিকে লইয়া স্বাও । দিদির বড় দুঃখ ; দিদিকে মা বড় মারে।* বালিকার মাথা অনাথনাথের পত্নীর বুকে । বালিকা শিশুটিকে বক্ষে লইয়া সজলনয়নে ঈষৎ হাসিয়া বলিল,-“হারে গোপাল ! তুই আমাকে ছাড়িয়া থাকিতে পারিৰি ?”