পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলা • سواه : ও গৃহস্থের নানাবিধ সম্পত্তি—সিন্দুক, পালঙ্ক, তৈজসপত্র, কাপড়, বিছানা পড়িয়া আছে। স্থানটি যেন একটি ভীষণ রণক্ষেত্র। রণরঙ্গিণী প্রকৃতি যেন মানুষের সঙ্গে ভীষণ যুদ্ধ করিয়া একটি মহাপ্রগয় সাধিত করিয়াছেন। তিনি বুঝিলেন, সমুদ্র-তরঙ্গ এ পৰ্যন্ত আসিয়া পৰ্ব্বত-মালায় প্রতিহত হইয়া ঝড়ের পর লরিয়া গিয়াছে, এবং পশ্চাতে এই ভীষণ দৃপ্ত রাখিয়া গিয়াছে। ষত দুর চক্ষে দেখা যাইতেছে, সমস্ত স্থানে ক্রোশের পর ক্রোশ কেবল নর, পশু, পক্ষীতে এবং ভগ্ন গৃহখণ্ডে ও গৃহস্থিত দ্রব্যাদিতে আচ্ছন্ন। স্থানে স্থানে তাহার মত দুই এক জন নর-নারী স্তম্ভিত অবস্থায় বসিয়া আছে । পশ্চাতে একখানি ঝটিকাবিধ্বস্ত গ্রাম দেখা যাইতেছে। অনাখনাথ উঠিয়া সেই গ্রামের দিকে চলিলেন । দেখিলেন, বৈরাগীর মত একটি লোক কয়েক জন রমণী ও বালক বালিকাকে লইয়া গ্রামের দিকে যাইতেছে। তিনি তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন,—“ববাজি ! এ কোন স্থান ?” বৈরাগ বলিল,-“বাবা ! এ গ্রামের নাম চম্বল । ইহাতে আমার একখানি ক্ষুদ্র আখড়া আছে । গৃহ দি পড়িয়া গিয়াছে । ইহারা নানা স্থান হইতে ভাসিয়া আসিয়াছে। দেখি, যদি চাল তুলিয়া তাহার নীচে অশ্রয় দিয়া ইহাদের জীবন রক্ষা করিতে পারি । হরি হে ! তোমার একি লীলা ।” অনাথনাথ বিস্ময়-বিকৃত কণ্ঠে বলিলেন,-“চম্বল ” বাবাজি স্থিরকণ্ঠে কহিলেন—“চম্বল।”