পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভানুমতা। ১৮৫* নয়নের ভূষণ আমার রূপদরশন ; . - বদনের ভূষণ আমার সে নাম কীৰ্ত্তন। তাহার বোধ হইল, কণ্ঠ ভানুমতীর, সে যেন উস্তানে, গৃহে, ছাদে আকাশে বিচরণ করিয়া গাইতেছে ; ফুন্নজ্যোৎস্নাকীর্ণ “জগৎ. যেন শুiমনামে ੇ ও ভক্তিত্বসে সিক্ত হইয়াছে ; চারি দিকে অজস্র পুপবৃষ্টি হইতেছে। তিনি মুগ্ধদ্বয়ে আত্মহারা হইয়া শুনিতে লাগিলেন, এবং সেই পুণ্যদৃপ্ত দেখিতে লাগিলেন। কিছু ক্ষণ পরে সঙ্গীত থামিল , তাহার নিদ্রাভঙ্গ হইল ; বুঝিলেন, তাহার নয়নে অশ্র। এ কি ? তিনি উঠিয়া উদ্‌ঘাটত গবাক্ষের নিকটে গিয়া উদ্যানের দিকে দেখিলেন । নিৰ্ম্মল ধবল জ্যোৎস্নালোকে পত্র-পুপশোভিত উস্তান হাসিতেছে। কই, সেখানে ত ভানুমতী নাই! তখন অনাথনাথ ভাবিলেন, তিনি রাজিতে এ সঙ্গীত ভানুমতীকে গলদশ্রনয়নে, বাষ্পাকুলিত কণ্ঠে সারঙ্গীর সঙ্গে গাইতে শুনিয়াছিলেন, স্বপ্নে আবার সেই গীত গুনিয়াছেন। কিন্তু এ স্বপ্নে তাহার হৃদয় যেন ভক্তিতে আর্দ্র, দ্রব হইয়াছে, প্রাণে যেন কি অমৃত প্রবেশ করিয়াছে, ধমনীতে যেন কি অমৃত সঞ্চারিত, সঞ্চালিত হইয়াছে। ভক্তিতে আত্মহারা অবশ ভাবে রজনীর অবশিষ্ট কাল না নিদ্রিত, না জাগ্রত অবস্থায় অতিবাহিত করিলেন। প্রত্যুষে উঠিয়া উস্তানে প্রবেশ করিলেন। কিন্তু, কই, অন্ত দিন যেরূপ ভানুমতী তাহীর জন্ত অপেক্ষা করিয়া থাকে, আজ"ত নাই। তিনি মনে করিলেন, সে নদীতীরে গিয়াছে তিনি পুরগিরি অবতরণ করিয়া কর্ণফুলীর তীরে উপস্থিত হইলেন। কিন্তু কই, ভানুমতী এখানেও নাই। তিনি তখন মনে করিলেন, বালিকা কাল.অনেক রাত্ৰি পৰ্যন্ত জাগিয়া আন । করিয়াছিল, তাই এত সকালে জাগিতে পারে নাই। তিনি किडूक्न नौठौप्द्र বেড়াইলেন। বৈশাখের প্রভাত . স্বভাবতঃ