পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসের পত্র । :ఫిసె আমি এই শৃঙ্গস্থিত দুর্গমাগ, গহ্বরস্থিত মৃত নগরের সমাধি এবং জীবিত নগরের চাকচিক্য দেখিয়া ভাবলাম,— ভারতে যেমতি পুরাকালে হয় } শোভিত আসৱ আলোকমালায় যেমতি গাইত গীত গায়িকায়, পূৰিয়া যামিনী সঙ্গীত স্বধায়। সেই নৃত্যগীত রয়েছে সকল, কিন্তু কোথা গেল সেই বীৰ্য্যবল ?” ভাবিতে ভাবিতে চিস্তাবসয় হৃদয়ে জয়পুরে কিরিলাম । গুয়ুপুর বাঙ্গালীর বড় গৌরবের স্থান। নগঃটি অতি সুচারুৰূপে নিৰ্ম্মিত ও সজ্জিত। প্রশস্ত রাজপথ সকল জয়পুরকে ঠিক যেন একটি শতরঞ্চ খেলার ঘরের মত বিভক্ত ও সজ্জিত করিয়া বধিয়াছে। উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিমে সৱা রেখায় রাজপথ নল সরি সা:ি ছুটয়াছে। দুই দিকে একরূপ দ্বিতল গৃহশ্ৰেণী । কি নগর কি রাজাট, হুগলীর স্কিাধর নামক জনৈক জ্যোতিৰী । ব্রাহ্মণের কল্পনাপ্রস্থত। আজওঁ বাঙ্গালী জয়পুরের মন্ত্রী এবং রাজসহায়, তাই বলিতেছিলাম, জয়পুর বাঙ্গালীর বড় গৌরবের স্থল। মহারাজ জয়সিংহ এক জন প্রতিভাসম্পন্ন জ্যোতিষবিং ছিলেন। আপন প্রতিভাবলে, নানাবিধ জ্যোতিষ-যন্ত্ৰ নিৰ্ম্মাণ করিম, ইনি জ্যোতিষ অনুশীলনের জন্তে, স্থানে স্থানে মান-মন্দির মেধা করিয়ছিলেন। দিল্লীর বহির্ভাগে এরূপ একটি অদ্ভূত মন্দির ছিল। এই অধঃপতনের দিনে লোকে ইহার নাম যন্ত্ৰ-মন্ত্র’— দিছে। জয়পুর রাজবাটীর এক কোণেও এইরূপ একটি প্রশস্ত মানমমির আছে। জয়সিংহের সিংহাসনে এমন শৃগাল সকল দিয়া উহার খনিৰ্ব্বচনীয় আমননা করি আসিতেছেন যে, গুংদের পূর্বপুরুষের এই অদ্বিতীয় অতুলনীয় গৌরবনিদর্শন সকল