পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসের পত্র। $39 Įk করিয়াছিলেন। আমি যদিও এ কার্থে অনভ্যস্ত, তথাপি সেই স্বরে বীণা বাধিয়া আলাপ করিলাম। তিনি এত সস্তুষ্ট হন যে, অপরাহ্লে ফিরিয়া গিয়া তাঁহার অশ্বারোহী সৈম্ভের ব্যয়াম দেখিতে বলেন। আমি নুতন রাজবাড়ী দেখিতে যাই। সম্মুখের একটি বাড়ীতে—এটাই শ্রেষ্ঠ অট্টালিকা-গুনিলাম, রাজার উপপত্নী । থাকেন এবং রাজা দিন রাত্রি এখানেই পড়িয়া থাকেন। তাহার পশ্চাতে অস্তঃপুরমহল। র্তাহার মহিষী কয়েক জন তাহতে আবদ্ধ আছেন। রাজকাৰ্য্যের সম্যক ভার প্রতাপসিংহের হস্তে, তিনিই প্রকৃত রাজা। নূতন বাড়ী, আমাদের চক্ষে কিছুই লাগিল না। তবে নুতন যে একটী কাৰ্য্যালয়বাড়ী হইতেছে, তাহা অতি জীকাল রকমের । ফিরিয়া আসয়ি, প্রতাপসিংহের কাছে বসিয়া গুশ্বক্ৰীড়া দেখি মাড়ওয়ার রাজ্যের সর্দারদিগের শিশুদিগকে পর্য্যন্ত তিনি অশ্বরোহণে শিক্ষা দিতেছেন । থোকার অপেক্ষণ ছোট ছোট শিশুরাও নক্ষত্ৰবেগে ঘোড়া ছুটাইতেছে। প্রতাপসিংহকে দেখিলে, রাজপুত কুলতিলক হিন্দুগৌরবস্থর্য প্রতাপসিংহকে মনে পড়ে। লোকটী দেখিতে ক্ষুদ্র, কিন্তু তেজ যেন ফুটীয়। পড়িতেছে। শুনিলাম, ইনি, জীবস্ত ব্যান্ত্রের দন্ত উৎপাটন করেন । তাহার ডান হাতে এক ব্যাণ্ডেজ এবং ডান পাম্বে অন্য ব্যাণ্ডেজ বাধা রহিয়াছ। তদ্রুপ, র্তাহার পরিষদবর্গেরও হস্তে, পদে, চক্ষে, ব্যাণ্ডেজ শোভা পাইতেছে। সকলেই ঘোড়া হইতে পড়িয়া । আহত হইয়াছে। ইহাতেই বুঝিবে যে, ইহার কিরূপ অশ্বারোহণে ব্ৰতী। সন্ধার পর, জ্যোৎস্নালোকে আবাসে ফিরিয়া আসি। পরদিবল প্রতে যোধপুরের হর্গ দেখিতে যাই। একটা প্রায় চন্দ্রনাথের মত উচ্চ শৈলের সর্বাঙ্গ এবং এক পার্শ্বের উপত্যক জবুত কবিয়া দুর্গপ্রাচীর চলিয়া গিয়াছে। উপত্যকা, ৰোধ । পুত্বের গুহাবলী অসংখ্য হংসমালার মত শোভা পাইতেছে। :