●९ নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী । br@ নাহি কি ধৈৰ্য্যের অস্ত্র হৃদয় ভাণ্ডারে ? যুঝিব একাকী আমি, ত্যজিব না রণ। দেখি নিষ্ঠুর ভাগ্য কি করিতে পারে, পাষণে হৃদয় এই করিমু বন্ধন। এই চলিলাম গৃহে করিলাম পণ,— *মন্ত্রের লধন কিংবা শীর্তন" | পতিপ্রেমে দুঃখিনী কামিনী। কবিতা পাঠ কালে স্থানে স্থানে অসঙ্গত বোধ হইতে পারে, এই দন্ত এই কামিনী কে, প্রথমে তাহার কি অবস্থা ছিল, তাহ পাঠকগকে সংক্ষেপে বলিতে হইল। এই যুবতী কোন এক পৰ্ব্বতীৰ প্রদেশের ভাগ্যবানের দুহিতা। তাহার শৈশব কালে জনক জননী অসভ্য জাতির অত্যাচার ভয়ে পলায়ন সময়ে অন্যহারে মুমূমুর্বপ্রায় কৃতী বৰীয়া ৰালিকাকে অর্ধপ্রলোভনসহ এক জল ক্লকের হতে সমর্পণ করিয়া যান। পরে তাহদের কি হইল, কেহই বলিত পারে না। সকলের অনুভব, র্তাহার অসভ্যদিগের খঙ্গে নিহত হইয়াছিলেন। এই হতভাগিনী কৃষকগৃহে পালিতা। এক দিন এক যুবকের সহিত তাহার সাক্ষাৎ হয়, তৎসঙ্গে সঙ্গে পরস্পরের চিত্ত বিনিময় হয়। যুবক কৃষকের কাছে সবিশেষ অবগত হইয় জানিতে পারিলেন, এই যুবতী উহার পিতার পরম বন্ধুর কন্যা। পিতৃসমক্ষে আপন মনোগত ভাৰ প্রকাশ করিলেন। পিতা শাস্ত্রসম্মত প্রায়শ্চিত্ত করাই উভয়ের পরিণয় বিধান করিলেন। পরিণামে সেই পরিণয়-বৃক্ষের কি ফল ফলিয়ছিল, পাঠকবর্গ অনুগ্রহ করিয়া কবিতাটি পাঠ করিলে জানিতে পরিবেন।
পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৩৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।