পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৬৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঙ্গমতী । ●>>° পুছিয়া ডাকিল বংস ”—হায় ! সেই স্বর পর-দুঃখে তরলিত, নারী-হৃদয়ের শীতল উচ্ছ্বাস ! হায় ! সেই স্নেহশ্বর, দুঃখপূর্ণ জগতের শাস্তির সঙ্গীত : স্বেদসিক্ত কেশগুচ্ছ ললাট হইতে সরাইয়া, সুকোমল করে তপস্বিনী— শশাঙ্কমণ্ডল হতে নীরদের রেখা সরায় যেমতি ধীরে শারদ অনিল— ডাকিন্তু মধুরে—“বৎস বীরেন্দ্র ”—আবার । সঞ্জীবনী সুধারাশি শ্রবণে যুবার প্রবেশিল সেই স্বরে । মেলিলা নয়ন যুবা । মন্ত্ৰমুগ্ধ যেন, রহিলা চাহিয়া তপস্বিনী মুখ পানে, আয়ত লোচনে— অতি প্রসারিত নেত্র, স্থির, আচঞ্চল, অস্বভাব-আভা-পূর্ণ। ধীরে তপস্বিনী জিজ্ঞাসিলা পুনঃ–“ৰংস ”—পুনঃ সেই স্বর— “দেখিতে কি ছিলে তুমি কোন কুস্বপন ?" “কুস্বপ্ন-বলিলা যুবা ; নামিল নয়ন। ললাটের স্বেদবিন্দু মুছি ধীরে ধীরে ; মুছিয়া নয়ন স্বয়, বলিলা যুক্তক— “কুস্বপ্ন-কুস্বপ্ন দেবি ! দেখিতেছিলাম অমুখ নিদ্রায় আমি । দেখিতেছিলাম এক মহা পারাবার, অনাদি, অনন্ত, কেনিল-তরঙ্গ-পূর্ণ, ভীম প্রভঞ্জন । গৰ্জ্জিছে ঝটিকানাদে, জলধি হৃদয়ে ; গজিছে জীমূত,মন্দ্র, মোর কৃষ্ণশ্বিরে ।