ՀԵ নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী । সে বুঝিবে অভাগার যন্ত্রণ কেমন । আশা ছিল অয়ি মতঃ ! বৎসর অন্তরে, প্রতিবিম্ব নিরর্থিব দুর্লঙ্ঘ্য সাগরে । মোহন শুiমল মূৰ্ত্তি নয়নরঞ্জন, নিরপিয়া জুড়াইব তাপিত জীবন । বশি তব প্রেমক্রোড়ে ধরিয়া গলায়, কাতর করুণ স্বরে বলিব তোমায় । দুঃপের কাহিনী যত ; নয়ন-মসরে চিত্ৰ করি দেখাইব সকলি তোমারে । । খুলিয়া হৃদয় এই দুঃখের সদন, , দেখাব ভাগ্যের অস্ত্রে অঙ্কিত কেমন । , সাধ ছিল, আশিকুল ফুটিবে যখন, তব রাঙা পয়ে সব করিব বর্ষণ । সৌভাগ্যের সুমুদুল কিরণ বিহনে, শুকায়েছে সব আহা ! বাচিপে কেমনে ? বিধিছে হৃদয় এবে কণ্টকের প্রায়, দ্বিগুণ বাড়িছে দুঃখ তাদের জ্বলায় । স্মৃতিপটে যেই সব প্রতিমা সুন্দর— ভেবেছিনু একবার জুড়াব অগুর, নিরথিয়া সেই সব নয়নের কাছে— এত দুঃখ সহে তারা বেঁচে কি মা আছে ? বলন জননি ! তুমি বল না আমীয় ? কেমনে মা অভাগিনী দিবস কাটায় ? সুকুমার শিশুগণ স্বর্ণলতাপ্রায়, বেঁচে আছে এত দিন কাহার ছায়ায় ? কুসুমযৌবন ধনী বল না কেমনে
পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৮৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।