রৈবতক কাব্য tyy(t আসি কি না আসি আর, ডুবি, ভাসি, অনিবার হৃদয়েতে বুহিবে অঙ্কিত তব স্নেহমাখা মুখ, তব স্নেহপূর্ণ বুক, তব মূৰ্ত্তি স্নেহেতে স্বজিত । চিস্তা, শ্রাস্তি, অবসরে, অবসন্ন কলেবরে, করিতাম যবে দরশন ; কি যে স্বৰ্গ মুশীতল, প্রীতিপূর্ণ নিরমল,— চলিলাম, বিদায় এখন ।” *বিদায় ;”-জোয়ার-জল, ধরিল ভীষণ বল, পড়িলাম ঢুলিয়া চরণে,— “বিদায় । হৃদয়নাথ, দাসীরে এ বজ্রাঘাত, করিও না অকরুণ মনে ! এই বালিকার প্রাণ চারিটি বছর দান করিয়াছি চরণে তোমার ; না পারি সহিতে আর পরস্ব প্রাণের ভীর, পাদপদ্মে লও উপহার" তোমার অযোগ্য। আমি জানি আমি, আরো জানি নাহি যোগ্য। রমণী তোমার । এত রূপ গুণ কভু । যোগ্যতা করিতে, প্রভু, রমণীতে সাধ্য আছে কার ? দাসী তব পদাশ্রিত ; নিৰ্গন্ধা অপরাজিত, দেবগণ করেন গ্রহণ ! তেমতি এ দীন ফুলে, স্থান দিয়ে পদমূলে চরিতার্থ কর এ জীবন।” শিহরিল কলেবর ; দাড়াইয়া প্ৰাণেশ্বর, প্রেমভরে তুলিয়া আমায়,
পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৯৫৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।