অবকাশরঞ্জনী । է»: ইসনে কে বধিয়াছে জ্বলন্ত অনলে ? তাহে স্মৃতি পাপিয়সী ধরিয়া দর্পণ, কবিগত-জীবন-চিত্র করে প্রদর্শন । যখন আনন্দময়ী জননীর কোলে নাচিতাম, হাসিতম,আনন্দ-হিল্লোলে । যবে সুখে, প্রিয়তম সঙ্গিগণ লয়ে, নেচে নেচে বেড়াতাম পুলক হৃদয়ে । বভু তুঙ্গ শৃঙ্গে উঠি প্ৰফুল্লিত মনে, দেখিতাম বিশ্বছবি স{য়াহ-পবনে । *দোলায়ে বসন্ত-লত বহিত পবন, মৰ্ম্মরিত পত্ৰকুল, জুড়া’ত জীবন । গাইল বিহঙ্গকুল বসিয়া আবাসে, গ্নাইতাম, তোমা নাথ ! মনের উল্লাসে দেখিতাম দূর নদী রবির প্রভায়, জন্মভূমি-কণ্ঠমূলে স্বর্ণ-রেখা প্রায় । অতি দুরে আম্রবন, স্রোতস্বতী তটে । চিত্ৰবৎ দেখাইত আকাশের পটে । যবে রবি শোভিতেন ভূধরকুন্তলে, কিংবা ববে শশধর আকাশমগুলে হাসিতেন, হসিতাম বসি নদীকূলে, শিক্ষকের যত জ্বালা যাইতাম ভুলে । নৈশ আকাশের মূৰ্ত্তি অমল সলিলে, দেখিতাম কঁাপিতেছে মলয় অনিলে । কত শত পূর্ণ শশী এলো-থেলো হয়ে, বিরাজিত সুনীলাৰু সব্রিত-হৃদয়ে । কল্লোলিত যবে নীল তরঙ্গিণীচয়,
পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৯৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।