পাতা:নব্য-ন্যায় (ব্যপ্তি-পঞ্চক) - রাজেন্দ্রনাথ ঘোষ.pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যাপ্তি-পঞ্চ কম্। সে অন্যোন্যাভাবের অধিকরণ = কপিসংযোগ্যবাদ-ভেদের অধিকরণ = এতদ্বক্ষণদিভেদের আধিকরণ = এতদ্বক্ষাদ-ভিন্ন সবাহ। ধরা যাউক, ইহা Veffs *s séí সেই অন্যোন্যাভাবের অধিকারণ-নিরূপিত বৃত্তিতা অর্থাৎ সাধাবৎ-প্ৰতিযোগিক, অন্যোন্যাভাবের-সামানাধিকারণ == যাহা গুণত্বাদিতে থাকে। কারণ, গুণত্বাদি থাকে গুণে, অর্থাৎ গুণত্বাদি গুণের আধেয় । সেই অন্যোন্যাভাবের অপিকরণ-নিরূপত বৃত্তিতার অভাব অর্থাৎ সাধ্যাবৎ-প্রতিযোগিক, অন্যোন্যাভাবের অসামানাধিকরণ -- যাহা গুণত্বাদি-ভিন্ন অর্থাৎ যাহ। গুণে থাকে না। ইহা এতদ্বক্ষিত্ব, ধরা যাউক । এই এতদ্বক্ষিত্ৰই “হেতু” ; সুতরাং এতদ্বক্ষত্বে, সাধাবৎ হইয়াছে প্ৰতিযোগী যাহার এমন যে অন্তোন্তাভাব, সেই অন্যোন্যভাবের অধিকরণ-নিরূপিত বৃত্তিতার অভাব-অর্থাৎ সাপ্যবৎপ্ৰতিযোগিক অন্যোন্যাভাবের অধিকরণ-নিরূপিত বৃত্তিতার অভাব অর্থাৎ “সাধাবৎ-প্রতিযোগিক অন্যোন্যাভাবের অসামানাধিকারণ” থাকিল, লক্ষণ যাইল ; এবং দ্বিতীয় লক্ষণে “অধিকরণ ভেদে অভাব ভিন্ন ভিন্ন” এই নিয়ম না মানিয়া “কপিসংযোগী-এতদ্বক্ষিত্ত্বাৎ” এস্থলের অব্যাপ্তি নিবারিত হইল। ইতাই হইল তৃতীয় লক্ষণের প্রয়োজনীয়তা । এখন জিজ্ঞাস্য হইতে পারে, দ্বিতীয় লক্ষণের এমন কি বিশেষত্ব ছিল যেজন্য তথায় “অধিকরণ ভেদে অভাব ভিন্ন ভিন্ন” ইহা স্বীকারের প্রয়োজনীয়তা হয় ? তত্ত্তরে বলা যায় যে, দ্বিতীয় লক্ষণে একটা “সাদা ভাব" ও একটা “অধিকরণ” পদ ছিল। এই তৃতীয় লক্ষণে ऊाश्। न्ाठे । দেখ, দ্বিতীয় লক্ষণ ছিল ;- “সাধাবাদ-ভিন্নে যে "সােপাভাব’। তদপিকরণ-নি, পিতা বৃত্তিতার অভাব।” কিন্তু, তৃতীয় লক্ষণ হইতেছে ;- “সাধালৎ-প্রতিযোগিক যে ‘অন্যোন্যাভাব’। তদৃদ্ধিকরণ-নিরূপিত বৃস্তিতার অভাব” । অর্থাৎ দ্বিতীয় লক্ষণের “সাধাভাবিবৎ” পদে যে আতাস্তাভাবাধিকরণ পাওয়া যায়, তাহারই জন্য “অধিকরণ ভেদে অভাব ভিন্ন ভিন্ন”, এই নিয়ম স্বীকারের আবশ্যকতা হয় । যাহা হউক, এইবার চতুর্থ লক্ষণের অর্থ কি তাত দেখা যাউক । তৃতীয় লক্ষণ সত্ত্বেও ইহার ধিক প্রয়োজন, তাহ পরে আলোচিত হইতেছে। চতুর্থ লক্ষণ - সকল-সাধ্যাভাবিবন্নিষ্ঠাভাব-প্ৰতিযোগিত্বম। ইহার অর্থ-সাধ্যাভাবের যে যাবৎ অধিকরণ, তন্নিষ্ঠ অভিাবের প্রতিযোগিতা হেতুতে থাকাই হ্যাপ্তি ।