পাতা:নব্য-ন্যায় (ব্যপ্তি-পঞ্চক) - রাজেন্দ্রনাথ ঘোষ.pdf/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

O8 莺 ব্যাপ্তি-পঞ্চক-রহস্যম। গুণঃ বিদ্যতে যাত্র = গুণ +বতুপ-সঃ গুণবান। ন গুণবান=অগুণবান। নঞ তৎপুরুষ সমাস। তস্য ভাবঃ = অগুণবত্বম-অগুণবৎ + ত্ব। আর তাহা হইলে ইহা এখন উৎপত্তিকালের দ্রব্যকে বুঝাইতে পরিবে না। কারণ, উহা গুণশূন্য হইলেও গুণবদ-ভিন্ন নহে। যেহেতু, গুণবাদ হয় দ্রব্য, গুণবদ-ভিন্ন হইতে গেলে দ্রব্য-ভিন্ন হইতে হয় ; কিন্তু, উৎপত্তিকালীন দ্রব্য কখন দ্রব্য-ভিন্ন হয় না । ইহার কারণ, অব্যাপ্যবৃত্তিমতের অন্যোন্যাভাবও ব্যাপ্যবৃত্তি, এবং অব্যাপ্যবৃত্তির অত্যন্তাভাব অব্যাপ্যবৃত্তি হয়-এইরূপ একটী নিয়ম আছে। এ নিয়মের অর্থ পরে বক্তব্য। গুণ প্ৰকাশ রহস্য, ন্যায়কেশৱী মহানুভব শ্ৰীমদ উদয়নাচাৰ্য্য-বিরচিত গুণকিরণাবলীর উপর বৰ্দ্ধমানকৃত “প্ৰকাশ” নামক টীকার উপর শ্ৰীমন্মথুরানাথ তর্কবাগীশ বিরচিত টীকা, এবং দীধিতিরহস্য, উক্ত গুণাকরণাবলীর উপর উক্ত প্ৰকাশাখা টীকার উপর শ্ৰীমদ রঘুনাথ শিরোমণিবিরচিত দীধিতি নামক টীকার উপর শ্ৰীমন্মথুরানাথ তর্কবাগীশ বিরচিত টীকা। এখন যদি বলা যায়। “ন কৰ্ম্মধারয়ানমন্ত্বর্থীয়ঃ বহুব্রীহিশেচৎ অর্থপ্রতিপত্তিকরং” ইহার কৰ্ম্মধারয়-পদে বহুব্রীহি-সমাস-ভিন্ন-সমাস বলা হইল কেন ? বহুব্রীহিকে বাদ না দিলে কি দোষ হয় ? তদুত্তরে বলা হয় যে, বহুব্রীহি-সমাস-ভিন্ন না বলিলে “সাধ্যাভাববৎ” এই পদটীই অসাধু হয়। কারণ, সাধ্যাভাব-পদের দ্বারাই সাধ্যাভাববৎ-পদের কাৰ্য্যসিদ্ধ করা যাইতে পারে। যেহেতু, সাধ্যাভাব-পদের সমাস যদি “সাধ্যম্ভ। অভাবে যাত্র” এইরূপ বহুব্রীহি করা যায়, তাহা হইলেই “সাধ্যাভাবিবৎ” পদের অর্থ লাভ হয়। কারণ, সাধ্যাভাববৎ পদের অর্থ-সাধ্যের অভাব-বিশিষ্ট । আর এই জন্যই “সাধ্যাভাবিবৎ” পদের সমাস করিতে হইবেসাধ্যঃ = সাধ্যস্বরূপঃ অভাবো যন্ত স সাধ্যাভাবি: ( বহুব্রীহি ), স বিদ্যতে যাত্ৰ তৎ = সাধ্যাভাববৎ। । কারণ, তাহা হইলেই কৰ্ম্মধারয়-পদে বহুব্রীহি-ভিন্ন-সমাস এই অর্থের সার্থকতা থাকে । আর এই জন্যই—সাধাস্ত অভােব: = সাধ্যাভাব: ; স বিদ্যতে যাত্ৰ-এই অর্থে বতুপ প্ৰত্যয় করিতে পারা যাইবে না । কারণ, কৰ্ম্মধারয়-পদে বহুব্রীহি-ভিন্ন-সমাস বলায়, এস্থলে – তৎপুরুষকেও পাওয়া গেল । সুতরাং, কৰ্ম্মধারয়-পদে বহুব্রীহি-ভিন্ন-সমাস বলা আবশ্যক । এখন এবিষয় আর একটা জিজ্ঞাস্ত হইতে পারে। ইহা এই যে, উক্ত নিয়ম-মধ্যে, “ন কৰ্ম্মধারয়ানমন্ত্বর্থীয়ঃ” এই পৰ্যন্ত বলিলেও তা চলিতে পারে। “বহুব্রীহিশেচদৰ্থপ্রতিপত্তিকরঃ” এই অংশের আবশ্যকতা কি ? যেহেতু, বহুব্রীহি-সমাসের পর মতুপ প্ৰত্যয় করিলে ষে অর্থ হয়, বহুব্রীহি-সমাস করিলেও সৰ্ব্বত্রই সেইরূপ অর্থ দেখা যায়। ইহার উত্তরে বলা হয় যে, না-তােহা হয় না। কারণ, এমন স্থল আছে, যেখানে বহুব্রীহি সমাস-ভিন্ন সমাসের উত্তর মতুপ, করিলে ৰে অৰ্থ লাভ হয়, বহুব্রীহি-সমাস করিলে সে অর্থ লাভ হয় না। যেমন “নীলোৎপলবৎসর” এবং “কৃষ্ণসর্পবদ্যুবৰ্গীকম”। এখানে বহুব্রীহি-সমাস করিলে কাল্পনিক কৃষ্ণসৰ্প বিশিষ্ট বর্গকিকেও কৃষ্ণসৰ্প শব্দে বুঝাইতে পারে ; কিন্তু, কৃষ্ণসর্পবৎশব্দে কাল্পনিক