পাতা:নব্য-ন্যায় (ব্যপ্তি-পঞ্চক) - রাজেন্দ্রনাথ ঘোষ.pdf/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

懿。 ф е ব্যাপ্তি-পঞ্চক-রহস্যম । অভাব” বলা আবশ্যক, এবং উভয়কে মিলিত করিলে হইবে “সাধ্যতাবচ্ছেদকাবিচ্ছিন্ন প্ৰতিযোগিতাকাভাবাধিকরণ-নিরূপিত-বৃত্তিতত্বাবচ্ছিন্ন-প্ৰতিযোগিতাক-অভাব” । বস্তুতঃ পরে এইরূপ ভাষা স্থলে স্থলে প্ৰযুক্ত হইবে । তদ্রপ, বহুর মধ্যে কোন কিছুকে নির্দেশ করিবার সময় এশাস্ত্ৰে কতিপয় স্থলে যেরূপ পথ অবলম্বন করা হয়, এস্থলে তাহারও কিঞ্চিৎ আলোচনা করা যাউক ; কারণ, এতদ্বারা বক্ষ্যমাণ সামান্যাভাবের দলদ্বয়ের রচনাভঙ্গী সহজে বুঝিতে পারা যাইবে । মনে কর, একখানি গৃহে একরকমের অনেকগুলি পুস্তক আছে। একখানি পুস্তক রাম, শু্যাম ও কৃষ্ণ এই তিন জনের, একখানি-মাত্র রামের, এবং অপরখানি রাম, শুষ্ঠাম, কৃষ্ণ ও যদু এই চারিজনের। অন্যগুলি অপরের। এখন যদি রাম, শ্যাম ও কৃষ্ণ এই তিনজনের পুস্তক খানি কাহাকেও আনিতে বলা হয়, তাহা হইলে বলিতে হইবে, যে ব্যক্তি রাম নহে, যে ব্যক্তি শুমি নহে, এবং যে ব্যক্তি কৃষ্ণ নহে, সে ব্যক্তির নহে, অথচ রাম, শ্যাম ও কৃষ্ণের যে পুস্তক খানি, সেই খানি আন । অন্য প্রকার বলিলে চলিবে না, অন্য প্রকারে ঠিক কথা বলা হইবে না, অর্থাৎ তাহাতে উদ্দেশ্য সিদ্ধ হইবে না । ইহার মধ্যে “যে ব্যক্তি রাম নহে, যে ব্যক্তি হ্যাম নহে ও যে ব্যক্তি কৃষ্ণ নহে, সে ব্যক্তির নহে” এই অংশটুকুকে অধিকবারক অংশ বলা হয়, এবং “অথচ রাম, শ্যাম ও কৃষ্ণের যে পুস্তক খানি সেইখানি” এই অংশটুকু নূনধারক অংশ বলা হয়। এই অংশদ্বয় যদি না বলা যায়, তাহা হইলে দোষ হয়। দেখ, যদি অধিকবারক অংশ না বলা হয়, তাহা হইলে রাম, শ্যাম, কৃষ্ণ ও যদুর যে-খানি, সে-খানি আনিতে পারা যায় ; কারণ, যাহা রাম, শ্যাম, কৃষ্ণ ও যদুর তাহ রাম, শ্যাম ও কৃষ্ণেরত বটেই, এবং যদি নুনিবারক অংশ না বলা যায়, তাহা হইলে কেবল রামের পুস্তকখানি আনিতে পারা যায়। কারণ, রাম, শ্যাম ও কৃষ্ণ এই তিনজনের ভিতর রাম ত আছেই। সুতরাং, রাম, শ্যাম ও কৃষ্ণের পুস্তক আন বলিলেই রাম, শ্যাম ও কৃষ্ণেরই পুস্তক আন| যায় না। অর্থাৎ ঐ রূপ করিয়া ঘুরাইয়া বলিতেই হইবে। আমরা এখনই দেখিব সামান্তাভাবমধ্যেও এইরূপ করিয়া ঘুরাইয়া বলিবার ব্যবস্থা করা হইতেছে। যাহা হউক, এইবার এই সকল পারিভাষিক শব্দ ও বর্ণনাভঙ্গী সাহায্যে-দেখিতে হইবে, সাধ্যাভাবাদিকরণ নিরূপিত আপেয়ােতাসামান্যাভাবের আকারটি কিরূপ, এবং ইহার নুনবারিক ও ইতরবারিক দলদ্বয়ই বা কিরূপ । ইতিপূৰ্ব্বে সামান্যভাবের পরিচয় প্রদানকালে আমরা যে একটা দৃষ্টাস্তের সাহায্য গ্ৰহণ করিয়াছি, এক্ষণে পুনরায় তাহারই সাহায্যে অবশিষ্ট কথাগুলি বুঝিবার চেষ্টা করিব। উক্ত দৃষ্টান্ত মধ্যে দেখা গিয়াছে, “গৃহমপ্যস্থ মনুষ্যের সামান্যাভাব” আছে বলিলে গৃহমধ্যস্থ কোন নির্দিষ্ট বা কতিপয় মানুষ্যের অভাব বুঝায় না, অথবা উক্ত গৃহমধ্যস্থ যাবৎ মনুষ্য BBDB DBBB DDSDDBD DBD DBDS BDDB SBDBDB SDBBD BBzDBDBS DD DKSS