পাতা:নব্য-ন্যায় (ব্যপ্তি-পঞ্চক) - রাজেন্দ্রনাথ ঘোষ.pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ॐ९ ६s । Gk) তন্মধ্যে “গৃহমধ্যস্থ মনুষ্যের সামান্তাভাব” বলিতে “কোন বা কতিপয় নির্দিষ্ট মনুষ্যের সামান্তাভাব” বলিলে, অথবা “গৃহমধ্যস্থ যাবৎ মনুষ্য এবং ঘট-পটাদির-অভাব” বলিলে আধিক্য-দোষ হয়, এবং কেবল “মানুষ্যের সামান্যাভাব” বলিলে নুন্নতা-দোষ হয়, : হাও দেখা গিয়াছে। " এক্ষণে আমরা এই নুনাধিক্যটী বুঝিতে চেষ্টা করিব। কারণ, এই নূ্যনতা ও আধিক্য কোন বিষয়ে নূ্যনতা ও আধিক্য তাঁহা সহজে বুঝা যায় না। ইহার কারণ, যখন গৃহমধ্যস্থ কোন নির্দিষ্ট বা কপিতয় মানুষ্যের অভাব বলা যায়, তখন সহজেই মনে হয়, গৃহমধ্যস্থ মনুষ্যের ংখ্যা কমিয়া গেল, এবং যখন “গৃহমধ্যস্থ” বিশেষণটিকে পরিত্যাগ করিদ্র, কেবল “মনুষ্যের” সামান্যাভাব বলা হয়, তখন সহজেই মনে হয়, মনুসের সংখ্যা বৃদ্ধি পাইল । অথচ উপরে ইহার বিপরীত কথাই বলা হইয়াছে। সুতরাং, এই নূ্যনতাধিক্য জানিবার বিষয় । এতদুত্তরে বলা হয়, এই নৃত্যুনতাধিক্য, পদার্থের ব্যক্তিগত সংখ্যার অল্পাধিক্য লইয়া নহে, পরন্তু প্ৰতিযোগিতার অবচ্ছেদকের সংখ্যার অল্পাধিক্য লইয়া। অর্থাৎ “গৃহমধ্যস্থ মনুষ্যের অভাব” বলায় গৃহমধ্যস্থ মানুষ্যের সংখ্যা লইয়া এই অল্পাধিক্য বুঝিলে চলিবে না, পরন্তু মানুষ্যের উপর যে অভাবের প্রতিযোগিতা আছে, সেই প্ৰতিযোগিতার অবচ্ছেদক ধৰ্ম্মের সংখ্যা লইয়া এই আল্লাপিক্য বুঝিতে হইবে। এখানে দেখ “গৃহমধ্যস্থ মনুষ্যের অভাব” বলিলে মনুষ্যের উপর অভাবের যে প্ৰতিযোগিতা থাকে, তাহার অবচ্ছেদক হয় “গৃহমধ্যস্থত|” এবং “মনুষ্যত্ব” । এখন যদি “গৃহমধ্যস্থ মনুষের অভাব।” স্থলে বলা যায় “মানুয্যের অভাব”, তাহা হইলে ঐ প্রতিযোগিতার অবচ্ছেদক হয়। কেবলই “মনুষ্যত্ব” । সুতরাং এখানে নূ্যনতাই হয়। ঐ রূপ। যদি “গৃহমধ্যস্থ মনুষ্যের অভাব।” স্থলে বলা যায় “গৃহমধ্যস্থ কতিপয় মানুষের অভাব,” তাহা হইলে ঐ প্রতিযোগিতার অবচ্ছেদকের সংখ্যা হয় তিনটী যথা—“গৃহমধ্যস্থতা” “কতিপয়ত্ব” এবং “মনুষ্যত্ব” । আর যদি “গৃহমধ্যস্থ মনুষ্যর অভাব”, বলিতে “গৃহমধ্যস্থ মনুষ্য এবং ঘটপটের অভাব” বলা যায়, তাহা হইলেও ঐ প্রতিযোগিতার অবচ্ছেদক হয় তিনটী, যথা-গৃহমধ্যস্থতা, ঘটপটত্ব এবং মনুষত্ব। সুতরাং, দেখা যাইতেছে, এই উভয় স্থলেই প্ৰতিযোগিতার অবচ্ছেদকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাইতেছে, এবং তজ্জন্য ইহারা আধিক্য পদবাচ্য। স্থূলকথা, বিশেষণের অল্পাধিক্য লইয়া নুন্নতা বা আধিক্য বিচার করিতে হইবে, বিশেষ্যের সংখ্যা ধরিয়া বিচাৰ্য নহে । এখন এতদনুসারে যদি “সাধ্যাভাবাধিকরণ-নিরূপিত আধেয়তার অভাব” এই ব্যাপ্তি লক্ষণের নূনতাধিক্য বিবেচনা করিতে হয়, তাহা হইলে বলিতে হইবে “সাধ্যাভাবাধিকারণ-জলক্রুদ-নিরূপিত আধেয়তার অভাব” এবং “সাধ্যাভাবাধিকরণ-নিরূপিত আধেয়তা ও জলস্ত্ব এতদুভয়ের অভাব”-