পাতা:নব্য-ন্যায় (ব্যপ্তি-পঞ্চক) - রাজেন্দ্রনাথ ঘোষ.pdf/২০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\სტ8 ব্যাপ্তি-পঞ্চক-রহস্যম । তদ্বারা অবচ্ছিন্ন করিয়াই ধরিতে হইবে । আর, তাহার ফলে, উক্ত সাধ্যাভাবাধিকরণ যে ক্রিয়া, তন্নিরূপিত উক্ত প্ৰকার বৃত্তিতা, হেতু যে সত্তা, সেই সত্তাতে থাকিবে না, সুতরাং বৃত্তিতার অভাব পাওয়া যাইবে, অর্থাৎ লক্ষণের অব্যাপ্তি নিবারিত হইবে। এখন দেখ, দ্রব্যানুযোগিক সমবায় সম্বন্ধকে “কালিক ও হেতুতাবিচ্ছেদক সম্বন্ধের অন্যতর সম্বন্ধ” ধারায় কি করিয়া সম্বন্ধকে বাড়াইয়া ধরা হইয়াছে, অর্থাৎ সম্বন্ধের আধিক্য দোষ ঘটতেছে। একটু ভাবিলেই দেখা যাইবে-দ্রব্যানুযোগিক সমবায় সম্বন্ধের স্থলে দ্রব্যানুষোগিকত্ব ও সমবায়ত্ব- এই দুইটা, সংসৰ্গতার অবচ্ছেদক ; কিন্তু, কালিক ও দ্রব্যানুষোগিক সমবায় সম্বন্ধের অন্যতর সম্বন্ধ স্থলে সংসৰ্গতার অবচ্ছেদক হয়-কালিকত্ব, দ্রব্যানুযোগিকত্ব, সমবায়ত্ব এবং অন্যতারত্ব-এই চারিটীি। সুতরাং, হেতুতাবাচ্ছেদক সম্বন্ধ যেখানে দ্রব্যানুযোগিক সমবায় সম্বন্ধ হয়, সেখানে তাহাকে “কালিকও দ্রব্যানুযোগিক সমবায় সম্বন্ধের অন্যতার সম্বন্ধ” ধরিলে ংসৰ্গতার অবচ্ছেদকের সংখ্যার আধিক্য ঘটে ; সুতরাং সম্বন্ধের অধিক দোষ হয় এবং পৰ্য্যাপ্তি প্ৰদান করিয়া এই আধিক্য নিবারণ করিতে হয়। এইরূপে পৰ্য্যাপ্তির প্রয়োজন যদি বুঝা গেল তাহা হইলে এখন সেই পৰ্য্যাপ্তিটী কি, তাহা জানা আবশ্যক, কিন্তু—ন্যায়ের ভাষায় এই পৰ্য্যাপ্তিটর আকার অবগত হইবার পুৰ্ব্বে, যে কৌশল অবলম্বন করিলে পূর্বোক্ত নুন্নতা ও আধিক্য বারণ করা যাইতে পারে, তাহা নির্ণয়ে একটু চেষ্টা করা যাউক। কারণ, এরূপ চেষ্টার ফলে বিষয়টীি সহজে হৃদয়ঙ্গম হইবে। এতদনুসারে চিন্তা করিয়া এই কৌশলটি আবিষ্কার করিতে হইলে প্ৰথমে দেখিতে হইবে গৃহীত দৃষ্টান্তে কি করিয়া অব্যাপ্তি প্ৰদৰ্শিত হইয়াছে। লক্ষ্য করিলে দেখা যায়—তথায় যে “সম্বন্ধে” হেতু করা হইয়াছিল, বৃত্তিতার অভাব ধরিবার সময় সেই “সম্বন্ধাবচ্ছিন্ন৷”বৃত্তিতাকে ধরা হয় নাই। কারণ, হেতু করা হইয়াছিল “দ্রব্যানুযৌগিক সমবায় সম্বন্ধে,” কিন্তু বৃত্তিতার অভাব ধরিবার সময় বৃত্তিতা ধরা হইয়াছিল-মুনতাস্থলে একবার “সমবায় সম্বন্ধে” এবং অন্যবার আধিক্যস্থলে “কালিক ও দ্রব্যানুযোগিক সমবায় সম্বন্ধের অন্যতার সম্বন্ধে। সুতরাং, দেখা যাইতেছে, যে সম্বন্ধে হেতু করা হইয়াছিল, সেই সম্বন্ধের যে সংসৰ্গত-ধৰ্ম্মটী, তাহার অবচ্ছেদক হইয়াছিল-দ্রব্যানুযোগিকত্ব এবং সমবায়ত্ব-এই দুইট, এবং যে সম্বন্ধে আধেয় বা বৃত্তি ধরা হইয়াছিল, তাহার একবার অবচ্ছেদক হইয়াছিল—“সমবায়ত্ব”—এই একটী, এবং অন্যাবার অবচ্ছেদক হইয়াছিল-কালিকত্ব, দ্রব্যানুযোগিকত্ব, সমবায়ত্ব এবং অন্ততরত্বএই চারিটি। এখন, তাহা হইলে নিয়ম কািরয়া যদি এই নুন্নতাধিক্য নিবারণ করিতে হয়, তাহা হইলে প্ৰথম, এই অবিচ্ছেদকের সংখ্যা নির্ণয় করিতে হইবে, এবং তৎপরে যে সম্বন্ধে বৃত্তিতা ধরা হইবে এবং যে সম্বন্ধে হেতু ধরা হইবে, সেই সম্বন্ধের ধৰ্ম্মন্বয়ের অবচ্ছেদকের ংখ্যার ঐক্য সম্পাদনা করিতে হইবে। যেহেতু, এই উভয় সংখ্যার ঐক্য সম্পাদন ভিন্ন উক্ত নুনাধিক্য বারশেদ আর সম্ভাবনা নাই। বাস্তবিক এখনই আমরা দেখিব, বে, ইহাই ভায়-সন্মত কৌশলীই বটে ।