পাতা:নব্য জাপান ও রুষ জাপান যুদ্ধের ইতিহাস - উমাকান্ত হাজারী.pdf/১০৬

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৮৪
নব্য জাপান

বংশ আছে। ইহারা কুস্তিগীর পালােয়ান ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তিকে কন্যাদান করা ঘৃণার বিষয় মনে করে। ইহারা পুত্র কন্যার জন্মদিনে একটী বৃক্ষ রােপণ করিয়া থাকে, পরে সন্তানের বিবাহের সময়ে সেই বৃক্ষের কিয়দংশ ছেদন করিয়া কোন একটী গৃহসরঞ্জাম প্রস্তুত করে।

 জাপানের ন্যায় বৈদ্যবহুল দেশ সমগ্র পৃথিবীমধ্যে কুত্রাপি দৃষ্ট হয় না। জাপানি-ভাযায় হাতুড়িয়া বৈদ্যের নাম “কুইসা”; ইহাদের প্রস্তুত গণ্ডার বটিকা, মহিষমিশ্রণ, ছাগারিষ্ট, হংসরস প্রভৃতি ঔষধ, সর্দ্দিজ্বর ও বিবিধ জটিল রোগে ব্যবহৃত হইয়া থাকে। জাপানী ভৈষজ্যশাস্ত্রে মৃগনাভিকেই সর্ব্বশ্রেষ্ঠ ঔষধ বলা হইয়াছে।

 জাপানে যে সমস্ত গল্প ও উপকথা প্রচলিত আছে, সেই সকলের মধ্যে দুই চারিটী গল্পের সহিত এ দেশীয় কোন কোন উপকথার অপূর্ব্ব ঐক্যতা পরিলক্ষিত হইয়া থাকে। উদাহরণ স্বরূপ বিহগবিহগীর (ব্যাগমাবেগমী) উপাখ্যান ও সাতভাই চম্পার কথা বলা যাইতে পারে। জাপানী উপকথায় দেব দানবের সহিত মানুষের বিবাহ, ব্যাঘ্র শৃগালাদির মানুষের রূপ ধারণ, শিয়ালভূত, মন্ত্রবলে মৃতদেহে জীবনসঞ্চারণ প্রভৃতি বহু অনৈসর্গিক কথা শ্রুত হওয়া যায়।

 ১৮৯৬ খৃঃ ১লা জুন তারিখে জাপান গভর্ণমেণ্ট যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ স্বরূপ চীনের নিকট হইতে ফরমােসা (তৈবান) ও তৎসন্নিহিত ৭৬টী ক্ষুদ্র দ্বীপ গ্রহণ করেন। সেই সময়ে এই দ্বীপের অবস্থা যারপরনাই শােচনীয় ছিল। জাপানের সুশাসনে ফরমোসা এক্ষণে দ্বিতীয় জাপানে পরিণত হইয়াছে। বর্ত্তমান সময়ে