লিখিতে আরম্ভ করেন। দ্বাদশ শতাব্দীতে পুস্তক সকল ইতিহাসের ন্যায় লিখিত হইতে আরম্ভ হয়। এই সময়ে মুরাসাকিসিকিবু নাম্নী জনৈক জাপানী মহিলা “গেঞ্জিমােণো-গাতারি” নামে একথানি ধর্ম্মগ্রন্থ প্রণয়ন করেন। সুপ্রসিদ্ধ “মন-যো-শিও” অর্থাৎ লক্ষপত্র নামক কবিতা পুস্তক এই সময়ে সঙ্কলিত হয়। ত্রয়ােদশ শতাব্দীতে জাপানে “নো” নামে এক শ্রেণীর সাহিত্যের উৎপত্তি হইয়াছিল। ইহা অনেকাংশে আধুনিক গীতি কবিতার ন্যায় ছিল। এই সময়ে জাপানে “কাইও-জেন” অর্থাৎ প্রহসনের সৃষ্টি হয়। ষোড়শ শতাব্দীতে জাপানী সাহিত্যে বিবিধ উপন্যাস (নিনজিও বন) ও নাটকের (জোরুরি-বন) উৎপত্তি হয়।
এক্ষণে জাপানে যে কয়টী ছন্দ প্রচলিত আছে, তন্মধ্যে তৌকা সর্ব্বপ্রধান। প্রায় শতকরা ৮০টী কবিতা এই ছন্দে রচিত হইয়া থাকে। ইহা ৩১টী অক্ষর সম্বলিত পঞ্চপদে বিভক্ত। পদপঞ্চে যথাক্রমে ৫, ৭, ৫, ৭ ও ৭টি অক্ষর থাকে। নিমে সম্রাট রচিত কয়েকটী কবিতা ও তাহার অনুবাদ প্রদত্ত হইল।
১ কোরে ওয়া মিনা
|
১ মায়ের সন্তান, সকলে গিয়াছে, |