পাতা:নব্য জাপান ও রুষ জাপান যুদ্ধের ইতিহাস - উমাকান্ত হাজারী.pdf/৮৮

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৬৬
নব্য জাপান

কোর্ট) ও ৩১০টী নিম্ন আদালত আছে। এই চারি শ্রেণীর আদালতের বিচারক সংখ্যা যথাক্রমে ২৫, ১২১, ৩৯৯ ও ৫৫৭ জন হইবে। এই সমস্ত বিচারালয়ে গত পূর্ব্ববর্ষে ১,৬১, ৮৫৪টী দেওয়ানী মােকর্দ্দমা ও ১, ৮৩, ৫৬২টী ফৌজদারী মােকর্দ্দমা হইয়াছিল।

 জাপানের পােলিশ প্রথা সর্ব্বোৎকৃষ্ট। এখানে গ্রামে গ্রামে একজন করিয়া পােলিশ আছে। তাহাদের নিকটে এলাকাধীন স্থানের মানচিত্র ও অধিবাসিগণের তালিকা আছে।

 প্রতি অফিসেই টেলিফোঁ সংযােগ রহিয়াছে। যে কোন ব্যক্তি তথায় পাঁচটী মাত্র পয়সা দিলে অন্যত্র সংবাদে পাঠাইতে পারে। এখানে উৎকোচের ব্যবস্থা আদৌ নাই। দেশবাসীর অর্থ ও শােণিত শোষণ করিবার জন্য জাপানী পােলিশের সৃষ্টি হয় নাই।

 এক্ষণে জাপানে ১৩৯টী কারাগার আছে। প্রতি কারাগারেই একজন করিয়া জেল গভর্ণর আছেন। তাঁহার বার্ষিক বেতন নয় শত হইতে পঁচিশ শত টাকা। গত পূর্ব্ব বৎসরে জেলসমূহের কর্ম্মচারী সংখ্যা ১১,৯৯৫ জন ছিল। এক্ষণে সমগ্র কারাগারের কয়েদীগণের দৈনিক উপস্থিত সংখ্যার গড় ৬০ হাজার হইবে। কয়েদীগণের স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখা হয়, তাহাদিগকে গ্রীষ্মকালে প্রতি পাঁচ দিবসে ও শীতকালে প্রতি দশ দিবসে স্নান করিতে দেওয়া হয়। প্রত্যহ তিনবার করিয়া খাদ্য প্রদান করা হয়। কয়েদীরা মুক্ত হইয়া যাহাতে সদুপায়ে জীবিকার্জ্জন করিতে পারে, তাহার জন্য কারাগারের ভিতরে ও বাহিরে তাহাদিগকে বস্ত্রবয়ণ, সূচীকর্ম্ম, ইষ্টকনির্ম্মাণ