পাতা:নব্য জাপান ও রুষ জাপান যুদ্ধের ইতিহাস - উমাকান্ত হাজারী.pdf/৯১

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
নব্য জাপান
৬৯

ছিল। ইহার পূর্ব্ববর্ষে রপ্তানির পরিমাণ ৪০ কোটী টাকা ছিল।

 সূত্র ও রেশমীবস্ত্রাদিবয়নে জাপানীরা পৃথিবীর মধ্যে শ্রেষ্ঠস্থান অধিকার করিয়াছে। ‘ওসাকা’ বন্দর প্রশান্ত মহাসাগরের ম্যানচেষ্টার রূপে পরিগণিত হইয়াছে। হােয়াইট দ্বীপে কয়লা, কেরাসিন, স্বর্ণ ও রৌপ্যের আকর আছে। জাপানের তাম্রখনি পৃথিবীমধ্যে বিখ্যাত। এক্ষণে সমগ্র জাপান সাম্রাজ্যে ৫৭টী রৌপ্য ১৩৬টী তাম্র-রৌপ্য এবং ৭২টী মিশ্রধাতুর খনি আছে। এই সমস্ত খনি হইতে গত পূর্ব্ব বর্ষে ৯ লক্ষ মণ তাম্র ৬২ হাজার মণ স্বর্ণ, দেড় লক্ষ মণ রৌপ্য, ২৫ কোটী মণ কয়লা উত্তোলিত হইয়াছিল। গতবর্ষে জাপানে যে সুবর্ণখনি আবিষ্কৃত হইয়াছে, তাহার মূল্য আনুমানিক হিসাবে ৪০০ কোটী স্থির হইয়াছে।

 জাপান সভ্যতার উচ্চতর সােপানে আরােহণ করিয়াও দেশীয় বাণিজ্যের উন্নতি সম্বন্ধে অণুমাত্র উদাসীন হয় নাই। বাষ্পীয় যন্ত্রের প্রবল প্রতিযােগিতা সত্বেও জাপানের প্রতি পল্লীতেই চরকা হইতে সূত্র নির্ম্মাণ ও তাঁতসাহায্যে বস্ত্র বয়ন হইয়া থাকে। জাপানের গৃহে গৃহে হস্তজাত ছুরি, কাঁচি, মৃত্তিকানির্ম্মিত বাসন ও বংশনির্ম্মিত নানাবিধ গৃহসামগ্রী দেখিতে পাওয়া যায়। জাপানী শিল্পীরা কাগজের দ্বার, জানালা, বাঁশের বিছানা, বাক্স, ব্যাগ প্রভৃতি প্রস্তুত বিষয়ে অসামান্য নৈপুণ্য প্রদর্শন করিয়া থাকে।

 জাপানবাসিরা যে কেবলমাত্র সমরশাস্ত্রে পারদর্শী হইয়াই ইউরােপীয় জাতিগণের সমকক্ষ হইয়াছে, এরূপ নহে। তাহারা