পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি

8 নব্য রসায়নী বিদ্যা সমূহ অগ্নিতাপে দগ্ধ হয়। এবং পারদের জন্যই পদার্থ বিশেষে ধাতব- গুণ বর্তমান আছে। আবার লবণ বর্তমান থাকার জন্যই ধাতু নিচয়, দ্রবীভূত হইতে পারে। এই আরবীয় সিদ্ধান্তের সহিত হিন্দুদিগের পঞ্চভূতবাদের অনেক সাদৃশ্য আছে। এমন কি অনেকে অনুমান করেন যে আরবগণ এ বিষয়ে হিন্দুদিগের নিকট ঋণী। কালের ফ্লজিষ্টন বাদ আবার আর বীয় “লবণ-গন্ধক-পারদ” বাদের রূপান্তর বিশেষ। যাহা হউক য়ুরােপে ফ্লজিষ্টনবাদ কিছু কালের জন্য আদৃত হইয়া ছিল, কিন্তু প্রীষ্টলি, ক্যাবেণ্ডিস, লাবােয়াসিয়ে প্রভৃতি পণ্ডিতগণের পরীক্ষা দ্বারা অচিরে উহা ভ্ৰমসম্বল বলিয়া প্রতিপন্ন ইয়াছিল । এই বিষয় বিতরূপে বলা যাইতেছে । বহুকাল হইতে তান্ত্রিক মতে “পারদভস্ম” ঔষধ রূপে ব্যবহৃত হইয়া আসিতেছে। পারদভস্ম তিন প্রকার হইতে পারে বলিয়া তন্থে উক্ত আছে, যপাশ্বেতভ, কৃষ্ণভস্ম ও লােহিত ভশ্ন। প্রস্তুত করিবার প্রণালী ভেদে এই লােহিতভ আবার দুই শ্রেণীতে বিভক্ত—যথা হিল ও রসসিন্দুর বা মকরধ্বজ। এই দুই শ্রেণীর লােহিত ভস্ম ভিন্ন আর এক প্রকার লােহিতবর্ণ ভস্ম আছে। তাই আমাদের দেশে বড় প্রচলিত ছিলনা, কিন্তু স্থল বিশেষে তাহার উল্লেখ পাওয়া যায়। এই লােহিত ভস্ম প্রস্তুত করিবার জন্য লষণ গন্ধক বা স্ফটিকারি প্রভৃতি কোন পদার্থের প্রয়ােজন নাই। পারদকে অগ্নি সন্তপ্ত করিলে তাহার উপরি ভাগে সরের ন্যায় পারদ মল” জমিতে থাকে (১১ পৃঃ দ্রষ্টব্য)। বিশেষ পরীক্ষা করিলে দেখা যায় যে এই ‘সর রক্তবর্ণ ক্ষুদ্রায়তন দানার সমষ্টি মাত্র। কিন্তু কেবল উত্তাপ প্রয়ােগেই যে পারদ এই প্রকার ভস্মে পরিণত হয় তাহা নহে। বাহির হইতে বাষ্ণু প্রবেশের প্রশস্ত পথ থাকা