পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায়। লাবােয়াসিয়ে ও অম্লজান। প্রীষ্টলির নানা বিষয়িণী প্রতিভা কেবল রাসায়নিক রহস্য উদঘা- টনে নিয়ােজিত থাকিত না। ধৰ্ম্ম সম্বন্ধীয় কূটতর্ক ও ব্যাকরণ শান্ত আলােচনা তাহার বড় প্রিয় ছিল। একাগ্রচিত্ততার অভাবে তিনি নব্য রসায়নশান্ত্রের প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা হইতে পারেন নাই। প্রসিদ্ধ পণ্ডিত লাবোয়াসিয়ে সে গৌরবের অধিকারী। পূর্বে আমরা ধাতুভম্মের কথা উল্লেখ করিয়াছি আবােয়া- সিয়ে বঙ্গভন্ম লইয়া বহু পরীক্ষা করেন। কি উপারে বঙ্গ (রাঃ) ভন্দ্রে পরিণত হয় কেন হয় এই বিষয় অনুসন্ধানে তিনি ব্যাপৃত থাকেন। প্রাচীন হিন্দু ও গ্রীক দার্শনিকগণ পদার্থবিদ্যাটিত অনেক আলােচনা করিয়াছিলেন সত্য; কিন্তু তাহারা প্রায়ই কাৰ্যতঃ পৰীক্ষা না করিয়া বেল অনুমানের উপর বেশী নির্ভর করিতেন । আমাদের দেশের নৈয়ায়িকগণ ইহার প্রকৃষ্ট দৃষ্টান্ত। প্রাচীন জ্ঞানিগণ এবিষয়ে কেবল মানসিক চিন্তা ও কূটতর্ক করিতেন মাত্র সুতরাং তাদের বাদানুবাদ বিশেষ কোন ফলােপদায়ক হয় নাই। বঙ্গভস্ম ও তন্ত্রোক্ত ঔষধে প্রয়ােজ্য। ইহারও প্রস্তুত করিবার প্রণালী সীসকতমের অনুরূপ। সাধারণতঃ বােধ হয় যে বঙ্গভস্ম বঙ্গাপেক্ষা লঘু। লাবােয়াসিয়ে কিন্তু দেখিলেন যে, যে ওজনের বঙ্গ মারিত হয়