পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৪ নব্য রসায়নী বিদ্যা বৎসরেই প্রিষ্টলী ও রক্তবর্ণ পারদভস্ম হইতে অম্লজান বায়ু বাহির করেন, কিন্তু প্রিইলী কেবল অম্লজান আবিস্কার করিয়াই ক্ষান্ত ছিলেন তাহার গুণাগুণ পরীক্ষা বা তৎসম্বন্ধে আর (কান আলোচনা করেন নাই। বরং তিনি পূর্বাপর প্রচলিত মতের সম্পূর্ণ পক্ষপাতী ছিলেন এবং তাহা হইতে বিচ্ছিন্ন হইতে পারেন নাই। কেবল মাত্র লাবােয়াসিয়েই এ বিষয়ের প্রকৃত তত্ত্ব জগতে প্রচার করিতে সক্ষম হইয়াছিলেন। জলের যৌগিকত্ব সম্বন্ধে তুমুল বিতণ্ডা হইয়াছিল। প্রিষ্টশী ও কাবেণ্ডিস উভয়েই পূৰ্ব্বসংস্কারাচ্ছন্ন হইয়া অন্ধের ন্যায় হাতড়াইয়া বেড়াইতেছিলেন--প্রকৃত মৰ্ম গ্রহণে সক্ষম হন নাই। পাঠক ইহাতে এমন বুঝিবেন না যে আবােয়াসিয়ে কেবল পরের আবিষ্কৃত বিষয়গুলি আত্মসাৎ করিয়া গাঁথিয়া জুড়িয়া নব্য বসায়নের ভিত্তি স্থাপন করিয়াছিলেন। তিনি অসাধারণ ধীসম্পন্ন উচ্চ শ্রেণীর বৈজ্ঞানিক ছিলেন এবং কোন বিষয়ে পরীক্ষা করিয়া তাহার প্রকৃত তত্ত্ব নির্ণয় করিতে সে সময়ে বিজ্ঞান গতে তাঁহার ক্ষে কেহ ছিল না। স্বীয় অমান্ত প্রতিভাবলে স্বকৃত পরীক্ষাগুলির মর্ম বিশেষরূপে হৃদয়ঙ্গম করিয়া তিনিই নব্য রসায়নশাস্ত্রের ভিত্তি স্থাপন করিয়া গিয়া ছেন। কাবেণ্ডিস ও প্রিষ্টলী পূর্বোক্ত নানাবিধ নুন নূতন পরীক্ষা সত্ত্বেও কেবল উহাদের প্রকৃত মৰ্ম্ম পরিগ্রহের অভাবে মৃংকাল পর্যন্ত ফজিষ্টন বাদী ছিলেন। তাঁহাদের ভ্রম দূব হয় নাই। আবার নব্য রসায়ন মন্দিরের ভিত্তিস্বরূপ ‘জড়পদার্থের অনশ্বরত্ব’ অর্থাৎ পরমাণুর - ধ্বংস বা হ্র:স বৃদ্ধি নাই এই মত মহাত্মা লাবােয়াসিয়েই প্রচার করিয়া গিয়াছেন। । স্থলে উল্লেখ করা আবশ্যক যে বহু প্রাচীনকাল হইতে হিন্দু দার্শনিকগণের মধ্যেও এই মত অনেকটা প্রচলিত ছিল এবং