পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৩২
নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি
৩২

৩ নব্য রসায়নী বিদ্যা 1 সহিত অজানের দুইটা পরমাণু যুক্ত হইয়াছে। এই রূপ ১৪ ভাগ যবক্ষারজানের সহিত ৮, ১৬, ২৪, ৩২, অথবা ৪০ ভাগ ওজনে অন্ন- জান মিলিত হইয়া পঞ্চবিধ নুতন বায়ূ উৎপন্ন হইয়া থাকে । কোনরূপ মাঝামাঝি ভগ্নাংশ ঘটিত অনুপাত অনুসারে সংযােগ হওয়া অসম্ভব। পরমাণু ভাঙ্গিতে পারিলে তাহা সম্ভব হইত। মনে করুন বিভিন্ন প্রকার পরমাণকে আমরা ক, খ, গ, ঘ, ঙ ইত্যাকার সাংকেতিক চিহ্ন দ্বারা নির্দেশ করিলাম। কিন্তু যেহেতু আমাদের পূৰ্ব্ব সূত্রানুসারে পরম অবিভাজ্য তাহা হইলে ক ও খ সংযােগে ক+খ, ক+২খ, ক+-৩থ, ক+৪থ, ২ক +থ ইত্যাকার যৌগিক পদার্থ নির্দিষ্ট গুণানুপাত অনুসারে উৎপন্ন হইতে পারে। ক+খ এরূপ উৎপন্ন হওয়া অসম্ভব। আর একটু প্রণিধান করিয়া দেখা যাউক পুরাকাল ইতেই পরমাণুবাদ ষড়দর্শনের এক অঙ্গস্বরূপ ধাৰ্য্য হইয়া আসিতেছে। কিন্তু এত দিন ধৰিয়া ইহা বা এই অনুমান ( hypothesis ) কেবল গুণজ্ঞাপক (qualitative) ছিল মাত্র অর্থাৎ দুই বা ততোধিক ভূতসমবায়ে যাবতীয় পদার্থ সৃষ্ট ডান্টন ইহা মানিয়া লইলেন কিন্তু এই বিষয়কে পরিমাণ জাপক (quantitative) নির্দিষ্ট নিয়মভুক্ত করিয়া সুদৃঢ় ভিত্তির উপর সংস্থাপন করিয়া আরও পরিপুষ্ট ও পরিবর্ধিত করিলেন। সচরাচর আমরা কোন বিষয়ের তত্ত্ব উদঘাটন বা কারণ অনুসন্ধানে • প্রবৃত্ত হইয়া তৎসংক্রান্ত বিবিধ ঘটনাবলি পৰ্যবেক্ষণ করিতে করিতে তাই নানারূপ অনুমান করিয়া থাকি। এই অনুমান সাহায্যে ঐ সকল বিষয়ের বিশেষরূপে কারণ নির্দেশ হইলে অনুমান ক্রমশ সতা বলিয়া গৃহীত হয়। কিন্তু তৎপরে আবার নুতন নুন ঘটনা পর্যবেক্ষণ কালীন উক্ত অনুমান দ্বারা সন্তোষজনক মীমাংসা না হইলে উহা