পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৪৩
নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি
৪৩

ন্য রসায়নী বিদ। 80 পরিষ্কার করিবার জন্য ব্যবহার হয় না। কিন্তু ৪০। ৫০ বৎসর বয়স্ক পল্লীগ্রামবাসী অনেকের স্মরণ থাকিতে পারে যে দরিদ্র লােক পূর্বে এইরূপ সাবানই ব্যবহার করিত এবং এই ক্ষাকে তীব্র করিবার জন্য ইহার জলের সহিত একটু চুণ মিশ্রিত করিয়া লইত। হিন্দু ঋষিগণ জানিতেন যে যবক্ষার ও সজ্জিকাক্ষার সম্পূর্ণ খিনি। কিন্তু গ্রীক দার্শনিকগণ এই দুই এর প্রভেদ বিশেষরূপে না বুঝিয়া গােলমাল করিয়া ফেলিতেন। সুশ্রুত মতে পলাশ, আকন্দ, আপা, কদলী প্রভৃতি গাছের ছাই জলে আলােড়িত করিয়া সেই জল একুশবার ছাঁকিয়া লইবে। পরে এই জল কটাহে ভালরূপ হাতাদ্বারা নাড়িতে নাড়িতে পাক করিবে। পাক করিতে করিতে ক্ষার ফল স্বচ্ছ, তীক্ষ্ণ ও পিচ্ছিল হইয়া আসিলে উহা পুনরায় পুরু কাপড়ে ছাকিয়া লইবে। পরে কিটু ভাগ (গান) পৃথক করিয়া পুনর্বার ঘন করিবে। ইহাই মৃদুঙ্গার। উক্ত ক্ষারজল আবার ঘুটিঙ পোড়ান চূণের সহিত মিশাইয়া জাল দিবে, পরে ঘন হইয়া আসিলে ইহা লইয়া লোহ পাত্রে রাখিবে। পাত্রের মুখ ঢাকিয়া রাখিবে । এই উপায়ে মৃদুঙ্গারকে তীক্ষ করা প্রাচীন কাল হইতে জানা আছে যে ছাই, সামিটী, ঘুটিঙ পাথর ( অর্থাৎ যাহা পােড়াইলে চূণ হয় ), শ্বেত পাথর (marble) প্রভৃতির উপর লেবুর রস, কঁজি বা আঙ্গর প্রভৃতির কোন অনুস প্রক্ষেপ কৰিলে ফেণার মত “গেঁজা” উঠিতে থাকে। Joseph Black পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণ করিলেন যে মৃদুঙ্গারের এই গুণ আছে কিন্তু তীক্ষ ক্ষারের সে গুণ নাই। তিনি আরও দেখিয়াছিলেন যে এই ‘গোন বা ফেণার মত পদার্ণ আর কিছুই নয়--অন্ন সংঘােগে পুৰ্বোল্লিখিত পদার্থ