পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৪৪
নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি
৪৪

ও তাহার উৎপত্তি। সমূহ হইতে ধীরে ধীরে এক প্রকার ‘বায়’ নির্গত হইতে থাকে। ঝিনুক, শুক্তি, মুক্তা প্রভৃতি গুড়া করিয়া তাহার উপর লেবুর রস দিলেও এই প্রকার “গেঁজায়”। এই সকল কঠিন পদার্থে এই নবাবিস্কৃত বায়, ‘‘আবদ্ধ থাকে এই জন্য ব্লাক ইহার নাম “আবদ্ধ বা, রাখিলেন। ব্লক স্পষ্টরূপে দেখিয়াছিলেন যে মৃদুক্ষার আর কিছুই নয়—এই আবদ্ধবায়ু সংযুক্ত তীক্ষার। তীক্ষার+আবদ্ধ বায়ু= মৃদুঙ্গার । যেমন মৃদুক্ষার হইতে (উত্তাপ বা প্রক্রিয়াবিশেষ দ্বারা) “আবদ্ধ বায়ু" বাহির করিয়া লইলে উহা তীক্ষারে পরিণত হয় তেমন আবার তীক্ষারের সহিত ‘আবদ্ধ বায়ু” সংযুক্ত করিতে পারিলে উহা মৃদুকারে পরিণত হয় । এখন দেখা যাক চূণ কি ? সকলেই জানেন ঝিনুক ও ঘুটীঙ বা সাদা পাথর বিশেষ পােড়াইলে চূণ ইহার অর্থ আর কিছুই নয় কেবল পাথর প্রচণ্ডরূপে উত্তপ্ত হইলে উহা হইতে আবদ্ধ বায়ু বহির্গত হয়। অবশিষ্ট যে “চূণ” থাকে তাহ। তীক্ষার মাত্র। ইহা এতই তীক্ষ্ণ যে পানের সঙ্গে একটু অধিক মাত্রায় চুণ সেবন করিলেই গাল “পুড়িয়া যায়। একটী সামান্য পরীক্ষা করা যাউক। (১ম) বাজারের “সােড।” লইয়া তাহাতে একটু “এসিডের গুড়া মিশ্রিত করুন। ইহাতে জল দিবা মাত্র “থ-ব” করিয়া যেন ফুটিতে থাকিবে—অর্থাৎ সােডা ও এসিডের সংযােগে আবদ্ধ বায়ু এত শা ও জোরে নির্গত হয় যে বােধ হইবে যেন জল যথার্থই ফুটিতেছে”। এখন > 1