পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৪৭
নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি
৪৭

নব্য রসায়নী বিদ্যা ভুগিতেছেন এবং সর্বদা অম্ন উদগার করিয়া থাকেন তাহারা একটু চুলের জল বা সােডা সেবন করিলেই সহজে উপশম পান-ইহার কারণ যে বিপরীত গুণ বিশিষ্ট অম্ল ও ক্ষার সংযােগে উভয়ের তীব্ৰগুণ নষ্ট হইয়া মাঝামাঝি একটা নুতন (neutral) পদার্থ উৎপন্ন হয় উহা গল্প নয় ক্ষারও নয়। পূর্বে দেখান হইয়াছে যে চুণের জল ক্ষারগুণবিশিষ্ট এবং আবদ্ধ বায়ু অাত্মক এই উভয়ের মিশ্রণে যে খড়ি চুর্ণবং সাদা সাদা কণিকা উৎপন্ন হয় তাহাও নূতন পদার্থ এবং একেবারে ক্ষার ও অম্নগুণ বর্জিত। জোসেফ ব্লাকের কথা। পূর্বে বলা হইয়াছে। তাহার আরও বিশে- যত্ব এই যে তিনি সর্বপ্রথমে পরিমাণাত্মক ( quantitative) ভিত্তির উপর তাহার পরীক্ষা নিচষ্ট সংস্থাপন করেন। এখন আমরা জানি যে ঝিনুক ও ঘুটিং পােড়াইলে যে চূণ হয় তাহা ওজনে পাতলা বা অনেক কম। ১০০ মণ ঘুটাঙ পোড়াইলে ঠিক ৫৬ মণ চুণ পাওয়া যায়। বাকী ৪৪ মণ অঙ্গারা ৰা “আবদ্ধবায়ুরূপে” চলিয়া যায়। সুত-- রং পরিমাণজ্ঞাপক রসায়নশাস্ত্রের ব্লাক যে পথ প্রদর্শক ইহ। বলিলে অত্যুক্তি হয় না। চতুর্থ অধ্যায়ের পরিশিষ্ট। পরিশ্রুত জল। বাঙ্গালা সাহিত্যে পরিশ্রুত জল” distilled water এর অর্থ বােৰু বলিয়া উহার পরিবর্তে অনেক সময় ব্যবহৃত হইতে দেখা যায় । আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে পরিত” শব্দ এমত বিশরূপে প্রয়ােগ হইয়াছে যে