ও তাহার উৎপছি। গবেষণা-মহাবিদ্যালয়ের মত একটি বিজ্ঞানমন্দিরের বিশেষ প্রয়ােজন হইয়াছে। ইহা স্থাপিত হইবার পর য় ত কিছুদিন বাঁচিয়া থাকিবার জন্য, কাজ করিবার জন্য, ইহাকে সংগ্রাম করিতে হইবে, কিন্তু যথা- কালে যে ইহার উপযুক্ত একজন লােকের আবির্ভাব হইবে, তাহা নিঃসন্দেহে বলা যাইতে পারে। পূৰ্ব্বে বলা গিয়াছে রফোর্ডের ঐকান্তিক যত্নে এই পীঠস্থান স্থাপিত হয়, কিন্তু ইহার স্থায়িত্ব ও প্রভার যােভাগী ডেব। তিনি দরিদ্রের সন্তান , বাল্যকালেই তাহার পিতৃবিয়ােগ হয় এবং সংসারের ভার তাহার স্কন্ধে পড়ে। এক ডাক্তারখানায় তিনি এথেন্টিস নিযুক্ত হন। কিন্তু সে সময়কার ডাক্তারখানা আর এখনকার ঔষধালয় সম্পূর্ণ বিভিন্ন । এ সময়ে তিনি একটি ও রাসায়নিক পরীক্ষা (experiment) দেখেন নাই; এমন কি, রাসায়নিক যন্ত্র সকলের আকৃতি কিরূপ তাহাও জানিতেন না। তাহার যন্ত্রের মধ্যে ছিল, শিশি, মদের গেলাস, চায়ের পেয়ালা, তামাকের নল, এবং কখন কখন ধাতু গলাই- বার মাটির মূচী। আমাদের দেশের যুবকগণ অনেক সময় কেবল গবর্ণমেন্টের উপর দোষারােপ করিয়া ক্ষান্ত হন, আর বলেন, রাসায়- নিক পরীক্ষা ও গবেষণা করিতে হইলে বড় বড় বিজ্ঞানাগার চাই- অজস্র টাকা চাই,আমি ইহার উত্তরে জমান্বয়ে ডেৰী, ফারাডে প্রমুখ বৈজ্ঞানিকগণের চরিত্র বর্ণনা করিব। তাহা হইতে দেখা যাইবে যে, ইচ্ছ। পাকিলেই উপায় হয়-Where there is a will, there is m2 way. যত কিছু বড় বড় আবিষ্কার, তাহা অনেক সময় ক্ষেপা বা “মাথাপাগলা’ লােকের খেয়াল হইতে উদ্ভুত। যখন মহামতি ষ্টিলী, আবােয়াসিয়ে প্রভৃতি দেখাইলেন যে সচরাচর যাহাকে দাহ (combus.
পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/৬৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৫৩
নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি
৫৩