পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৫৩
নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি
৫৩

ও তাহার উৎপছি। গবেষণা-মহাবিদ্যালয়ের মত একটি বিজ্ঞানমন্দিরের বিশেষ প্রয়ােজন হইয়াছে। ইহা স্থাপিত হইবার পর য় ত কিছুদিন বাঁচিয়া থাকিবার জন্য, কাজ করিবার জন্য, ইহাকে সংগ্রাম করিতে হইবে, কিন্তু যথা- কালে যে ইহার উপযুক্ত একজন লােকের আবির্ভাব হইবে, তাহা নিঃসন্দেহে বলা যাইতে পারে। পূৰ্ব্বে বলা গিয়াছে রফোর্ডের ঐকান্তিক যত্নে এই পীঠস্থান স্থাপিত হয়, কিন্তু ইহার স্থায়িত্ব ও প্রভার যােভাগী ডেব। তিনি দরিদ্রের সন্তান , বাল্যকালেই তাহার পিতৃবিয়ােগ হয় এবং সংসারের ভার তাহার স্কন্ধে পড়ে। এক ডাক্তারখানায় তিনি এথেন্টিস নিযুক্ত হন। কিন্তু সে সময়কার ডাক্তারখানা আর এখনকার ঔষধালয় সম্পূর্ণ বিভিন্ন । এ সময়ে তিনি একটি ও রাসায়নিক পরীক্ষা (experiment) দেখেন নাই; এমন কি, রাসায়নিক যন্ত্র সকলের আকৃতি কিরূপ তাহাও জানিতেন না। তাহার যন্ত্রের মধ্যে ছিল, শিশি, মদের গেলাস, চায়ের পেয়ালা, তামাকের নল, এবং কখন কখন ধাতু গলাই- বার মাটির মূচী। আমাদের দেশের যুবকগণ অনেক সময় কেবল গবর্ণমেন্টের উপর দোষারােপ করিয়া ক্ষান্ত হন, আর বলেন, রাসায়- নিক পরীক্ষা ও গবেষণা করিতে হইলে বড় বড় বিজ্ঞানাগার চাই- অজস্র টাকা চাই,আমি ইহার উত্তরে জমান্বয়ে ডেৰী, ফারাডে প্রমুখ বৈজ্ঞানিকগণের চরিত্র বর্ণনা করিব। তাহা হইতে দেখা যাইবে যে, ইচ্ছ। পাকিলেই উপায় হয়-Where there is a will, there is m2 way. যত কিছু বড় বড় আবিষ্কার, তাহা অনেক সময় ক্ষেপা বা “মাথাপাগলা’ লােকের খেয়াল হইতে উদ্ভুত। যখন মহামতি ষ্টিলী, আবােয়াসিয়ে প্রভৃতি দেখাইলেন যে সচরাচর যাহাকে দাহ (combus.