পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(jo) নয়টা দশটার মধ্যে তাড়াতাড়ি অয় গিলিয়া বিদ্যা শিক্ষার হরিণবাড়ীর মধ্যে হাজির দেওয়া।” এখন সংবাদ পত্ৰ সি জন সাধারণের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারের একটা প্রধান সহায়ও অবলম্বন হইয়া উঠিয়াছে। অনেকেই জানেন মহামতি কবডেন একবার পার্সেমেন্ট মহাসভায় বলিয়াছিলেন যে সমগ্ৰ গ্ৰীক ইতিহাস অর্থাৎ হেরােডােটাস ( Hero- dotus ), থিউসিডাইডিস ( Thucydides) ইত্যাদি পড়িয়া যাহা না শিখা যায় একখানি টাই ( Times) পত্রিকা পাঠ করিলে তাহা অপেক্ষা বেশী জ্ঞানলাভ হয়। দেশের দুর্গতি ও দুরবস্থার বিষয় এখন চিন্তাশীল ব্যক্তি মাত্রেই আলােচনা করিয়া থাকেন, তাহার বিলক্ষণ বুঝিয়াছেন যে যত দিন একদিকে মুষ্টিমেয় শিক্ষিত সম্প্রদায় এবং অন্যদিকে কোটী কোটী নরনারী অজ্ঞান অন্ধকারে নিমগ্ন থাকিবে তত দিন আমাদের উন্নতির পথে অগ্রসর হইবার আশা খুব কম। যাঁহারা ইংৰাজীভাষা অবলম্বন করিয়া বিজ্ঞান শিখিতেছেন তাহারা অগাধ জলরাশির মধ্যে শিশির বিন্দুর ন্যায় প্রতীয়মান হইয়া থাকেন। মহ'- মতি বাকল ইংলণ্ড ও জৰ্মানদেশের শিক্ষাবিস্তার তুলনা করিতে গিয়া দেখাইয়াছেন যে জৰ্ম্মান দেশে সৰ্ব্ববিদ্যায় অসামান্য প্রতিভাশালী লােক জন্ম গ্রহণ করিয়াছেন অচ রাজনৈতিক উন্নতি বিষয়ে ইংলণ্ড অপেক্ষ। পশ্চাৎপদ। ইহার কারণ এই যে জৰ্ম্মান দেশীয় পণ্ডিতগণ চিন্তাসাগরে নিমগ্ন হইয়া এক পতিতী” ভাষার সৃষ্টি করিয়াছেন যে তারা কেবল সঙ্কীর্ণ “গণ্ডীর মধ্যে সীমাবদ্ধ ; সে সমস্ত উচ্চভাব সমাজের নিম্নতর স্তরে অনুপ্রবিষ্ট হইতে পারে না। ইহার ফল এই হইয়াছে যে মুষ্টিমেয় শিক্ষিত সম্প্রদায়ও জন সাধারণের মধ্যে একরূপ একটী অনতিক্রম্য প্রাচীর স্থাপিত কিন্তু ইংলণ্ডে বহুকাল হইতে বিজ্ঞান বিষয়ক সাধারণের বােধগম্য এমন হইয়াছে।