পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৬৩
নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি
৬৩

ও তাহার উৎপত্তি। বৈজ্ঞানিক বংশপরম্পরা বৈজ্ঞানিক তত্ত্বস্বরূপ একখানি ইষ্টকের উপর যে আর একখানি ইষ্টক স্থাপন করিয়াছিলেন, তাহার প্রায় সমগ্রভাগ অটুট রহিয়াছে। পরীক্ষামূলক তত্ত্বগুলি ভগবদ্ধৰ্ম্মের নায় বাস্তবিক সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত। অনুমানের পক্ষে অতটা বলা যায় না। যে সকল তথ্যসমূহ দ্বারা ডালটনের পরমাণুবাদ ভুল বলিয়া প্রতি- পন্ন হইয়াছে, তাহাদের এখন সংক্ষেপে সময়ানুক্রমিক বিবরণ আব- পর কি কুড়ি বৎসর পূর্বে আলােক ও বৈদ্যুতিক রশ্মি ভিন্ন যে অন্য কোন প্রকার রশ্মি উৎপাদিত হইতে পারে তাহা বৈজ্ঞা- নিকেরা জানিতেন না। একটী আবদ্ধ কাচনলের (closed tube) দুইধারে রূমকফকৃত যন্ত্র সংলগ্ন দুইটি তারের প্রান্ত সংলগ্ন করিয়া দিয়া যদি বৈদ্যুতিক শিখা ( spark ) পরিচালিত করিবার চেষ্টা করা যায়, তাহা হইলে একটা উজ্জ্বল সরল বা ৰক্ত রেখা দৃষ্ট হইবে। কিন্তু এই আবদ্ধচনা হইতে পারদচালিত বায়ু-নিষ্কাশন যন্ত্র প্রায় সমস্ত বায়ু অপসারিত করিয়া লওয়া যায়, তাহা হইলে শিথাটি সমগ্র নলধ্যে ব্যাপ্ত হইয়া পড়িবে এবং বিবিধবর্ণে রঞ্জিত হইয়া শােভা পাইবে। এই রশ্নিপঞ্জ বিয়ােগসংজ্ঞক প্রান্ত (electrode) হইতে আলােকরশ্মির মত বেগবান্ হইয়া সরণ- ভাবে কাচপত্রের গাত্রে পতিত হয়। কাচের যেখানটিতে পড়ে সেই স্থান উজ্জ্বল হরিংবর্ণ ধারণ করে। প্রথমে সকলে মনে করিয়া- ছিলেন যে, এই রশ্মি গুলির কাচপাত্রের বাহিরে আসিবার ক্ষমতা নাই। কিন্তু ১৮৯৬ অকে রঞ্জন নামক জৰ্ম্মানদেশীয় একজন পণ্ডিত দেখাইলেন যে, রশ্মিগুলি বহিবে অদৃশ্যভাবে আসে এবং আসিয়া বিভিন্নধৰ্মাক্রান্ত হয়। এই রঞ্জেন-রশ্মিতে অন্ধকারে ফটো তােলা যায়, মানুষের শরীরের হাড় দেখা যায়, এবং কতকগুলি জিনিষ যেমন রা যদি