পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৬৭
নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি
৬৭

ও তার উৎপত্তি। ইহা হইতে এই অনুমান স্বতঃসিদ্ধ যে, পিচব্লেণ্ড প্রস্তরে ইউনিয়ম অপেক্ষা বহুগুণশালী একটি সক্রিয় পদার্থ আছে। এই সক্রিয় পদার্থটি মুসো এবং মাদাম কুরী ইউনিয়ম প্রস্তর হইতে বিভিন্ন করেন। অবিরত তাপরশ্মি ও বৈদ্যুতিক কণা বিকিরণ করে বলিয়া কুরীদম্পতী ইহার নাম র্যাডিয়ম রাখিয়াছিলেন। উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে বুনসেন্ এবং কাকফ অভিনব উপায়ে দুইটা ধাতু আবিষ্কার করেন। অনেক ধাতুর উত্তপ্ত বাষ্প ত্রিশির কাচে (prism) বিশ্লিষ্ট হইলে পর যন্ত্রসাহায্যে উজ্জ্বল স্পষ্ট রেখা- বিশিষ্ট দেখা যায়। প্রত্যেক বিভিন্ন ধাতুর বেখা সম্পূর্ণ বিভিন্ন। বুনসেন ও কার্ক দুহাইমস্থিত প্রস্রবণের জলে কতিপয় নূতন রেখা দেখিতে পান এবং এক হাজার মণ জল উত্তাপ দ্বারা বিশােষিত কবিয়া উল্লিখিত দুইটা ধাতুর আবিষ্কার করেন। কুরীদম্পতী ইহা অপেক্ষা কঠিন কাৰ্য সংসাধিত করিয়াছেন। পিচব্লেণ্ডর ন্যায় দুষ্প্রাপ্য প্রস্তরের প্রায় ত্রিশ মণ বিশ্লেষণ করিয়া তাহারা নুতন ধাতুর একটা যৌগিক পদার্থের মােটে বিশ পনর রতি বিশুদ্ধভাবে পাইয়াছিলেন। শুধু রাসায়নিক বিশ্লেষণে এ কাৰ্য্য শিবের অসাধ্য বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। ইহার ইই!- দের তড়িৎপরিমাপক যন্ত্র দ্বারা প্রত্যেক বিশ্লিষ্ট ভাগ সক্রিয় কিনা এবং কত পরিমাণে সক্রিয়, ইহা পদে পদে নির্ধারণ করিয়াছিলেন এবং এই জন্যই কৃতকার্য হইতে পারিয়াছিলেন। র্যাডিম ছাড়া পিচ"ব্লণ্ড হইতে পলোনিয়ম এবং এক্টিনিয়ম (বা জ্যোতিঃশালী। নামে দুইটী বিশেষভাবে সক্রিয় পদার্থ পাওয়া গিয়াছে। ইহাদের প্রথমােক্রটির নাম মাদাম কুরী তাহার অভাগিনী জন্মভূমির নাম অনুসারেই দিয়াছেন। এই দুইটা পদার্থ র্যাডিয়ম অপেক্ষাও অত্যন্ত পরিমাণে পিচব্লেগুেতে পাওয়া যায়।