পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৭৫
নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি
৭৫

å ও তাহার উৎপত্তি। অনেক মতের বিরুদ্ধে খঙ্গ উত্তোলন করিয়া ভাবি নেয়তির পথ পরিষ্কার করিয়াছেন। আমাদের ভারতবর্ষ যে ব্রাহ্মণশাসিত এবং জাতিভেদ ও শাস্ত্রবাদ- গ্রস্ত হইয়া চিরকাল কুসংস্কারাচ্ছন্ন ছিল, এমন নহে। প্রাচীন ভারতেও অনুসন্ধিৎসা বৃত্তি যথেষ্ট বলবতী ছিল এবং স্বাধীন চিন্তা- স্রোত অপ্রতিহতভাবে প্রবাহিত ইয়াছিল। এমন কি, মষি কপিল ঈশ্বরের অস্তিত্ব পর্যন্ত স্বীকার করেন নাই। কেননা ইহা সহজে সপ্রমাণ হয় না। কপিল তথাপি বেদের দোহাই দিয়াছেন। যাহা হউক ষড়দর্শন ও উপনিষদে বেদ অভ্রান্ত ও অপৌরুষেয় বলিয়া স্বীকৃত হইয়াছে, সুতরাং সমগ্র হিন্দুজারি মুখ বন্ধ হইয়াছে। কিন্তু চার্বাক মুনি ঐতিও অগ্রাহ্য করিয়া ঘােষণা করিলেন - “কতিপয় প্রতারক ধূৰ্ত্তেরা বেদ সৃষ্টি করিয়া, তাহাতে স্বর্গ নরকাদি নানা প্রকার অলৌকিক পদার্থ প্রদর্শন করত, সকলকে অন্ধ করিয়া রাথিয়ছে এবং তাহারা স্বয়ং ঐ সকল বেদবিধির অনুষ্ঠান কত জন- সমাজের প্রবৃত্তি জন্মাইয়াছে এবং রাজাদিগকে যাগাদিতে প্রবৃত্ত করাইয়া তাহাদিগের নিকট হইতে বিপুল অর্থলাভ করিয়া স্বীয় স্বীয় পরিজন প্রতিপালন করিয়াছে। তাহাদিগের অভিসন্ধি বুঝিতে না পারিয়া, উত্তরকালীন লােক সকল ঐ সমস্ত বেদোক্ত কাষের অনুষ্ঠান করাতে, বহু কাল অবধি এই প্রথা প্রচতি হইয়া আসিতেছে। বৃহস্পতি কহিয়াছেন অগ্নিহো, বেদাধ্যয়ন, দণ্ডধারণ, ভগুণ্ঠন এই- সমস্ত বুদ্ধিপৌরুষহীন ব্যক্তিদিগের উপজীবিকা মাত্র। বেদে লিখিত আছে, পুত্রেষ্টিযাগ করিলে পুত্র জন্মে, কারারীযাগ করিলে বৃষ্টি ,, শ্যেন্যাগ করিলে শত্রুনাশ হয়। তদনুসারে অনেকেই ঐ সকল কর্মের অনুষ্ঠান করিতেছেন, কিন্তু কোন ফলই দৃষ্ট হইতেছে না।