পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৭৬
নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি
৭৬

নব্য রসায়নী বিদ্যা এক স্থানে বিধি আছে সূর্যোদয় হইলে অগ্নিহােত্র যাগ করিবে, অন্য স্থানে কহিতেছে, সূর্যোদয়ে হােম করিবে না, যে ব্যক্তি সূর্যোদয়ে হোম করে, তাহার প্রদত্ত আহুতি রাক্ষসের ভোগ্য হয়। এইরূপে বেদে অনেক বাকোর পরস্পর বিরােধ দৃষ্ট হইয়া থাকে এবং উন্ম- প্রলাপের ন্যায় এক কথার পুনঃপুনঃ উল্লেখও দেখিতে পাওয়া যায়। যখন এই সমস্ত দোষ দেখা যাইতেছে, তখন কি প্রকারে বেদের প্রামাণ্য স্বীকার করা যাইতে পারে ? অতএব, স্ব, অপর্গ ও পারলৌকিক আত্মা সমস্তই মিথ্যা এবং ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয়াদির ব্রহ্মচৰ্যাদি চারি আশ্রমের কৰ্তব্য কৰ্ম্ম সংলও নিস্ফল। ফলতঃ অগ্নিহােত্র প্রভৃতি কৰ্ম্ম সকল অবােধ ও অক্ষম ব্যক্তিদিগের জীবনােপায় মাত্র। ধূৰ্ত্তেরা ইহাও কহিয়া থাকে যে, জ্যোতিষ্টামাদি যজ্ঞে যে জীবের ছেদন হইয়া থাকে সে স্বর্গলােকে গমন করে। যদি ঐ ধুর্তদিগের ইহাতে সম্পূর্ণ বিশ্বাস থাকে, তবে তাহারা যজ্ঞোত আপন আপন পিতা মাতা প্রভৃতির মস্তকছেন না করে কেন ? তাহা হইলে অনায়াসে পিতা মাতা প্রভৃতির স্বর্গলাভ কইতে পারে, এবং তাহাদিগকে আর পিতা মাতার স্বর্গের নিমিত্ত শ্রদ্ধাদি করিয়া বৃথা কষ্ট ভোগ করিতে হয় না। আর শ্রাদ্ধ করিলে যদি মৃত ব্যক্তির তৃপ্তি হয়, তবে কোন ব্যক্তি বিদেশে গমন করিলে তাহাকে পাথেয় দিবার প্রয়ােজন কি ? বাটীতে তাহার উদ্দেশে কোন ব্রাহ্মণকে ভােজন করাইলেই তাহার তৃপ্তি জন্মিতে পারে। অপিচ, এই স্থানে শ্রদ্ধ করিলে যদি স্বপস্থিত ব্যক্তির তৃপ্তি হয়, তবে অঙ্গনে শ্রাদ্ধ করিলে প্রাসাদোপনিত ব্যক্তির প্তি না হয় কেন ? যাহাতে কিঞ্চিচ্চস্থিতে তৃপ্তি না হয় তবে তারা অত্যুচ্চ স্বস্থিত ব্যক্তির তৃপ্তি কিপ্রকারে সম্ভব হইতে পারে ? অত