পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন ما স্বদনের আমলেও তাহার আন্দাজ করা সম্ভবপর হয় নাই। একালের যুবক বাঙলাকে এই নবীন ভারতের সঙ্গে হৃদয়ের সম্বন্ধ পাতাইতে হইবে । ভারতে কারখানার সংখ্যা বাড়িয়া চলিয়াছে। ১৯২৩ সনে অনেক নেহাৎ ছোট কারখানাকে কারখানা বলা হইত না । তথাপি “ভারতীয় ফ্যাকটরীজ আইন” । ১৯১১, ১৯২১ ) মাফিক ৫,৯৮৫ কারখানা গণ৷ হইয়াছিল । ১৯২৪ সনে মোট সংখ্যা ৮,৫৪৮ । যে সকল কারখানায় বিশ জনের চেয়ে কম লোক কাজ করে সে সব বাদ দেওয়া হইয়াছে । মধ্য প্রদেশে কাপাস বীজ বহিষ্করণের ছোট ছোট কারখানাগুলি রেজিষ্ট্রেশন এড়াইয়া শাসনের হাত হইতে মুক্তি পাইবার চেষ্টায় স্থাপিত হইয়াছিল। কিন্তু স্থানীয় গবর্ণমেণ্ট অতি সত্বর সেগুলির উপর “নোটস জারি” করিয়াছেন । বোম্বাই প্রদেশে হস্তনিৰ্ম্মিত দিয়াশলাইয়ের কারখানার ছয় বৎসর বা তদূৰ্দ্ধ বয়সের বালকবালিকাদিগকে বহুসংখ্যায় নিযুক্ত করা হইত। নোটিস দিয়া সেই প্রথা বন্ধ করা হইয়াছে। বহার এবং উড়িষ্যায় অনেকগুলি করাতের কলে বিশ জনের নূন্য-সংখ্যক লোক নিযুক্ত হইত। কলগুলির অবস্থাও বিপজ্জনক ছিল । স্থানীয় গবর্ণমেণ্ট সেগুলিকেও “নোটস” দিয়াছেন । কারখানার শাসনে গবর্ণমেণ্টের হাত বেশ একটু দেখা যাইতেছে । ছাপাখানার সংখ্যা ছিল ২৩১, এখন হইয়াছে ৩৬৩। বিশেষতঃ চা-কারখানাগুলিতে এই বাড়তি বিশেষ লক্ষ্য করা যায় । ১৯২৩ সনে চা-কারখানা ছিল ৬৫৭টা । ১৯১৯ সনে সংখ্যা দাড়াইয়াছে ৮৮৫টা । কারখানার লোকজনদের সংখ্যা ১৯২৩ সনে ছিল ১,৪০৯,১৭৩ ৷ ১৯২৯ সনে এই সংখ্যা হইয়াছিল ১,৭৪২,৮৬০ । মেয়েরাও ফ্যাক্টোরির কাজে মোতায়েন হইতেছে । ১৯১০ সনে ছিল ১৮৪,৯২২ জন, ১৯২৯ সনে দেখিতে পাই ২৫৭,১৬১ ৷