পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ぬ○ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন কি ফলিতে পারে, কোন চাষ হইলে পরে চাষীর উন্নতি হইতে পারে, কোন গরুকে কি রকম রাখিলে ৩ধ ভাল হইতে পারে ইত্যাদি বিষয়ে পরীক্ষা হয় । পরে তার ফলগুলি এক জায়গায় জমা করিয়া রাখা হয় । অবশ্য জমা করিয়া রাখার জন্ত এর স্বষ্টি হয় নাই । স্মৃষ্টি হইয়াছে চাষীদের মধ্যে পল্লাগ্রামের মধ্যে ছড়াহবার জন্ত । এর নাম কৃষি-বিদ্যালয় বা কৃষিবিষয়ক পরীক্ষাগার বা গবেষণাগার। নতুন নতুন তথ্যগুলাকে দেশের ভতর ছড়াহবার যে কত্তব্য এখন সেসব ঐ সকল গবেষণাগারের কর্তৃপক্ষের ঘাড়ে রহিয়াছে। কিন্তু স্বদেশসেবক হিসাবে এই জিনিষগুলিকে যদি আমর। দেশের মধ্যে ছড়াইতে পারি তাম তাঁহা হইলে আমাদের ক্লযির উন্নতি, গরুর উন্নতি, দুধের উন্নতি অনেক বেশী হইত। সে জ্ঞানের ফল এখন সেখানে পাচটী লোক দশ টাকা বেশ রোজগার করিয়াছে সেখানে পাচশ ব| হাজার লোকের পক্ষে তযুত বেশী রোজগার করিবার ক্ষমতা জন্মিত । কিন্তু স্বদেশা তানেদালন হইতে আজ পর্য্যন্ত গাত "বিশ বাহশ বৎসরের মধ্যে এ লাইনে আমরা যথোচিত মনোযোগ দিই নাচ । সমবায়ে ক্রোর ক্রের টাকা এই ধরণের আর একটা দুষ্টান্ত দেখাইব । আজ সমবায় আন্দোলন বলিয়া একটা বিপুল আন্দোলন বাংলাদেশে চলিতেছে । প্রায় বার হাজার সমবায়-কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। স্বদেশী আন্দোলনের আরম্ভ হইতে আজ পর্যন্ত আমরা বিশেষ কোন কৰ্ম্মকেন্দ্র গড়িয়া তুলিতে পারি নাই। ন্যাশন্তাল ইস্কুল হয়ত পঞ্চাশ-পচাত্তরটা হইয়াছিল। ছাত্র সেই স্বদেশীর চরম যুগে হাজার চারেক পর্য্যন্ত উঠিয়াছিল। কিন্তু আজ তার নাম গন্ধও নাই । অথচ এখন বাংলাদেশে বার হাজার শুধু সমবায়ু-সমিতি আছে। এই সমিতিগুলির পেছুনে রুধির অর্থাৎ টঙ্কা আছে অনেক,—যা স্বদেশী আন্দোলনের সময়