পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মগজ মেরামতের হাতিয়ার æማ কল্পনাতেও কেউ আনিতে পারে নাই। বাংলাদেশের নিরক্ষর চাষা মাজের আবহাওয়ায় পল্লীগ্রামের লোকের সমবেত চেষ্টায় এই বার হাজার কৰ্ম্মকেন্দ্ৰ —যাতে প্রায় সাড়ে ছয় কোটী টাকার আদান প্রদান হয়,— ড়িয়া উঠিয়াদে। সাড়ে ছয় কোটী টাকা এই বাঙালী জাতি জমা করিয়া রাখিয়াছে -- বিজ্ঞাপনের পাতায় নয়। এটা খবরের কাগজের ভূয়ো কথা নয়। এই সাড়ে ছয় কোট টাক! তারা নগদ আনিয়াছে রাষ্ট্র-নায়কদের কৰ্ত্তব্য-স্বলন এ রকম দৃষ্টাস্ত আরো দিতে পারি। দরকার নাই। এই যে তিন;ারটা দেখাইলাম এতে যুবক-ভারত মাতিয়াছে কি ? আমি বাংলাদেশের লাক, আমি জানি এদিকে এখনও আমাদের দৃষ্টি পড়ে নাই। স্বদেশীর অগ্নি পরীক্ষার সময়ও নয়, আজও নয় । চোখের সামনে দেখিতে পাইতেছি পারের তলা দিয়া এত বড় গঙ্গা বহিয়া যাইতেছে । কোটা কোটী টাকার নতুন নতুন ধান চাউল পাট তুলে পয়দা করিবার জন্ত কৃষিবিষয়ক পরীক্ষাগার প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। এখন পর্য্যন্ত এদিকে আমাদের মাথা খাটে নাই । জিজ্ঞাস করিতে পারেন—এসব আলোচনা কারা করিতেছে ? স জিনিষটার নাম করিলেই আপনার চটিয়া উঠিবেন। কেননা বলিতে বাধ্য,—গভর্ণমেণ্টের আয়োজনে এসব হইতেছে । না সুরেন্দ্রনাথ, নী বপিন পাল, না অরবিন্দ, ন রবীন্দ্রনাথ, না চিত্তরঞ্জন—একজন দেশনায়কও এ লাইনে ব্ৰতী হইয়াছেন কিনা সন্দেহ। এদের কেহ এসব জানেন ন তা বলিতেছি না। এই যে মহা মহা লোকের নাম করিলাম --আপনার যত লোকের ইচ্ছা নাম করিতে পারেন আপত্তি নাই । তারা যত বড়ই হউন না কেন—এই যে অনুষ্ঠান যা সমাজের ভিতর, দেশের ভিতর রহিয়াছে সে অনুষ্ঠান যে আমাদের স্বদেশ দ্বি—৭