পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মগজ মেরামতের হাতিয়ার لا o لا দরকার ” আপনার বলিবেন, “এসকল নতুন নতুন তথ্য চাষীরা বুঝিবে না ; তাদের জ্ঞান নাই, তারা পাশ-করা নয়।” আমি বলিতে চাই একেবারে আহাম্মুক একেবারে মুখ খু চাষার কেউ নয়। তারা অনেক কিছুই বুঝে শুনে। হয়ত তারা বলিবে, "বাবু হে, কাশী মিত্তিরের ঘাটও চিনি, নিমতলার ঘাটও চিনি, কেবল মরিয়া আছি তাই । এই যে সার, এই যে হাল, এই যে মোটা বলদ, এই যে বীজ এ সব কিনিতে যে কাচ টঙ্কার দরকার ?” শেষ পর্য্যন্ত গিয়া ঠেকিতে হয় আবার কিঞ্চিৎ পুজি-সমস্তায় । আপনি বাংলাদেশের কোনো এক জেলায় চলিয়া যান। সেখানে কোনো একজন চাষাকে হয়ত টাক। দশেক দিয়া সাহায্য করিতে পারেন, বেশী লোককে পারেন না। তাতে দেশের বা পল্লীর উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতি হইতে পারে কি ? তার জন্ত চাই বিপুল আয়োজন। একজন চাষীকে যদি বৎসরে ৩০ টাক। করিয়া সাহায্য করিতে পারেন এবং এভাবে দশ হাজার চাষীকে এক বৎসর টাক যোগাইতে পারেন তাহা হইলে তিন লাখ টাকায় গিয়া দাড়াইল। এই তিন লাখ টাকা দিতে পারে বাংলাদেশে কে আছে ? যার টাকা আছে সে বলিবে, “কেন আমি তিন লাখ টাকা দিব ? আমি ত ধৰ্ম্ম করিতে বসি নাই।” কিন্তু এখানে যে ব্যবসার কথা আছে সে তা বুঝে না। ধরুন, এই দশ হাজার চাষী তিন লাখ টাকা খাটাহয়৷ এক বৎসরে অন্ততঃ সাত লাখ টাক। করিবে । কিসে বুঝা যাইবে করিবে ? এটা ভাবা কিছু কঠিন নয়। এই দশ হাজার লোক “সমবেত” ভাবে জামসেদপুর হইতে নুতন যন্ত্রপাতি আনিবে, সমবেত ভাবে বাজারে মাল ফেলিবে,- যেই তিন লাখ টাকা খরচ করিবার মত ক্ষমতা তাদের জন্মিয়াছে। দুচার দশ জনকে দিয়া কিছু হইবে না। টাকা ঢালিতে হইলে দশ হাজার লোককে একদিনে তিন লাখ টাকা দিতে হইবে । একটা