পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У X o নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন অনৈক্যের লাভালাভ যুক্তির একটা কথা শুধু বলিব । সেটা এই। রামা আর শু্যাম লোকের সামনে গলাগলি করিয়া চলে। লোকেরা মনে করে দুজনে খুব ভাব । কিন্তু বাহির হইতে যখন তার ঘরে আসে, তখন দৈনন্দিন জীবনের আটপৌরে ঘটনায় তাদের ঝগড়া ঝাটি ধর। পড়ে ; আর একটু বিস্তারিত করিয়৷ বলি । যৌথ-পরিবার নামে একট। বস্তু আছে । আমাদের দেশে মামা, খুড়া, বাপ, দাদা, মাসতুত ভাইয়ের স্ত্রী, খুড়তুতে ভাই, শাল শালী, মেসে, পিসে, নানান রকম সম্বন্ধেব নরনারী এই পরিবারে জটলা করে। বাহিরের লোকেরা সকলে ভাবে বাঙালী পরিবারগুলো মহাসুখে আছে, আহ কি মধুর সম্বন্ধ ! ভিতরে যখন প্রবেশ করি তখন কি দেখিতে পাই ? সকাল ৫টা হইতে রাত ১১৷১২ টা পৰ্য্যন্ত প্রতি মুহূৰ্ত্তে খাওয়া-খাওয়ি আর চলোচুলি । সত্য কথা কিনা ? কেবল বাংলাদেশে নয়, অনেক দেশেই এই দৃশ্ব দেখিয়াছি। মাম। মামী মেসো খুড়ো ভাই দাদ৷ ষার সঙ্গে এক গৃহস্তালাতে লোকের রহিয়াছে, বাইরের লোকের সঙ্গে তাদের যখন আলাপ হয় তখন তারা এক, ঠিক যেন পঞ্চ ভ্রাতা পাণ্ডব ! কিন্তু অতি সামান্স সামান্ত বিষয় লইয়া কি পৰ্য্যন্ত ঝগড় বিবাদ তাদের মধ্যে হয় তার কেবল একটা দৃষ্টান্ত দিব । মায়ে আর ছেলেতে সম্বন্ধ, তার চেয়ে সোজা জিনিষ আর হইতে পারে না। বিদেশের এক জজ-পরিবারের কথা বলিতেছি । দুই ছেলে, এক মেয়ে, কত্রী বিধবা, তাদের বাড়ীতে একটা কুকুর আছে । আমরা বাঙালা যেমন তুতু করিয়া ডাকিলে কুকুরটা কাছে আসে ঠিক তেমনি এরাও কুকুরকে ডাকে । মেয়ে ডাকে, ছেলে ডাকে, মা ডাকে । ঘটনা চক্রে এমন হইয়াছে ছেলেট যখন ডাকে কুকুরটা তার কাছে যায় আগে । সে সময় যদি মা কি আর কেহ ডাকে তার কাছে না গিয়া ছেলের কাছেই