পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১২ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন আত্মচৈতন্তের ক্রমবিকাশ তাদের মধ্যে বাস্তবিক বন্ধুত্বের যখন অভাব, ভাগাভাগির কোন না কোন কারণ যখন আছেই, তখন ভাগাভাগি করিয়া দেওয়াই ভাল । ঘা কাটিয়া তার দুষিত অংশ বাহির করিয়া দেওয়া দরকার । এর ফল কি হইবে ? যেমন হিন্দু তেমনি মুসলমান দুজনেই আত্মচৈতন্যশাল হইতে সুরু করিবে । হিন্দু বুঝিবে “আমার দেড় এ পর্য্যন্ত, এর বেশী আমি যাইতে পারিব না” । মুসলমানও জানিবে “আমার দৌড় এ পর্য্যস্ত, তার বেশী আমি যাইতে পারি না” । যেমন হিন্দু তেমনি মুসলমান প্রত্যেকে নিজের কৰ্ম্মক্ষমতা ও ব্যক্তিত্বের দেড় বুঝিবে । তখন এ আসিয়া বলিবে “সেলাম আলেকুম, আর জবাবে ও বলিবে “আলেকুম সেলাম ।” দুজনে আসল বুঝ|-পড়ার মিল শুরু হইবে। যদি সন্ধি করিতে হয়, আত্মচৈতন্তশাল হিসাবে ব্যক্তিত্বপূর্ণ হিসাবে করা উচিত। তার আগে নয় । বর্তমান অবস্থায় ঐক্যের ব্যবস্তা এক প্রকার অসম্ভব । জোর জবরদস্তি করিয় ঐক্যের সভা কায়েম করিলে ভিতরে খুঁত থাকিয়া যাইতে পারে । তুমি ভাবিবে তুমি বুঝি ঠকিতেছ, সে ভাবিবে সে বুঝি ঠকিতেছে। এই ঝকমারির ঐক্যে লাভ নাই । কিন্তু বিরোধ আর অনৈক্যের অভিজ্ঞতার ভিতর দিয়া এ বুকুৰ যে তার দৌড় এ পর্যন্ত, ও ববুক যে তার দৌড় ও পর্য্যন্ত । বাস । পরস্পর হাড়ে হাড়ে বুঝুক, “ওকে না পাইলে আমার চলে না, আমাকে ন হইলে ওর চলে না।” এইরূপ অনৈক্যের ভিতর দিয়া যে ঐক্য আসে সেট নিবিড় হইয়া আসে । সেই জন্তই বলিতেছি মারা ঐক্য ঐক্য বলিয়া বক্তৃতা করে তার ঐক্য আনিতে পারে না । অনৈক্যকে যার পরিষ্কার করিয়া দেখিয়াছে তারা ঐক্যের পথ গড়িয়া তুলিতে পারিবে ।