পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মগজ মেরামতের হাতিয়ার SSVO সমাজ-গঠনে চুক্তি-যোগ এখানে আর একটা কথা বলিতে চাই। এই পৃথিবীতে প্রাগঐতিহাসিক যুগ হইতে আজ পর্যন্ত অনেক জায়গায় সংসার সমাজ জাতি গড়িয়া উঠিয়াছে। কিন্তু কোনে জায়গায় জিনিষটা নিবিড় ভাবে গড়িয় উঠে না,--যতক্ষণ পর্য্যন্ত ব্যক্তি গুল স্বাতন্ত্র্যশীল, নিজ নিজ অভাব সম্বন্ধে জ্ঞানশাল না হয়। আপনার রাষ্ট্রনীতি সমাজনীতি পড়িয়াছেন, হেগেল কত মিল ইত্যাদির ফিলজফি পড়িয়াছেন । র্তার কেউ কেউ শিখাইতেছেন সমাজ জিনিষটা ঠিক যেন গাছের মত বা জানোয়ারের মত একটা জৈবিক বস্তু-আপনাআপনি গড়িয়া উঠিয়াছে। গাছ গাছড়া জীব-জন্তু ইত্যাদির অঙ্গে অঙ্গে স্বাভাবিক যেমন যোগ আছে, সমাজেও যেন ঠিক তেমন । পৃথিবীতে মত জাতি আছে, -যেমন ইংরেজ জাতি, ফরাসা জাতি, সবই এই অঙ্গাঙ্গি সম্বন্ধের জোরে জমাট হইয়া বাধিয়। উঠিয়াছে। এইরূপ মত আমরা সকলেই আওড়াইতে শিখিয়াছি। আমি বলি এ ধারণাটা প্রায় সম্পূর্ণ ভুল। এ মতটকে আমি বড় জোর একট। "হাইপথেসিস” বা আন্দাজ বলিয়। মনে করি । কিন্তু বিজ্ঞান-রাজ্যের অনেক হাইপথেসিস যেমন কৰ্ম্মক্ষেত্রে টেক্সই হয় না এটাও ঠিক তেমনি । এই ক্ষেত্রে আমার মতে টেকসই হইবে সেই চিন্তা-প্রণালী যে চিন্তা-প্রণালা বলে--এই যে মানুষ পাচজন এক জায়গায় জমা হইয়াছে এর কোনো একটা সূক্ষ্ম ব| গভীর “মিষ্টিসিজম"এর টানে আসে নাই, তথাকথিত গুঢ় রহস্তের বা আত্মিক সফদর জোরে আসে নাই । এর আসিয়াছে প্রধানতঃ পরম্পর-পরম্পরের অভাবমোচনের সুযোগ সুবিধ বিবেচনা করিয়া। মানুষে মানুষে সম্বন্ধ যে মুহূর্বে একট "চুক্তির” উপর প্রতিষ্ঠিত হয় সেই মুহূৰ্বে সম্বন্ধট নিবিড় হইয় উঠে। সেই fo—w