পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y S 8 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন সম্বন্ধ যে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে, সে সমাজের বনিয়াদ যথার্থ নিরেট । এমন কি স্ব-স্বামীর সম্বন্ধটাও আসলে চুক্তির সম্বন্ধ । ভিতরের কথা এই, “আমার তোকে না হইলে চলে না, তোরও আমাকে না হইলে চলে না। অতএব বহুত আচ্ছা, লাগিয়া যা জোড়া”। এইটুকুই হইতেছে বিবাহ-বন্ধনের আসল দর্শন । এই যে যোগ এর নাম আইনে কনট্রাক্ট, যাকে বলে চুক্তি । মান্ধাতার আমল হইতে আজ পর্য্যন্ত এই ধরণের চুক্তি সমাজে সমাজে, দেশে দেশে চলিয়া আসিতেছে । অনেক ক্ষেত্রে চুক্তিগুলি ঐতিহাসিক তথ্য নয় । জাম্মাণরা আসিয়া বলিল—“আয় এখন সমাজ গড়া যাউক’ কিংবা ঋগ বেদের ঋষি সিন্ধু তীরে আসিয়া বলিল—“আয় এখানে সমাজ গড়িয়া তুলি” ইত্যাদি সমাজ-বন্ধনের তেমন সনতারিখওয়ালা দলিল নাই। কিন্তু ওই ধরণের চুক্তি-মূলক সম্বন্ধ যেখানে যেখানে রহিয়াছে সেখানে সেখানে সমাজ দৃঢ়তর ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। তবে প্রত্যেক সমাজ-বন্ধনের ভিতর চুক্তি অজ্ঞাতসারে কিছু না কিছু কাজ করে । মুসলমান জুনিয়া সম্বন্ধে চাই হিন্দু বিশেষজ্ঞ এখন, হিন্দু-মুসলমানে ভাগাভাগি হওয়ার পর তারা যখন তাদের ব্যক্তিত্ব বৈশিষ্ট্য লইয়া আত্ম-চৈতন্যশীল হইতে থাকিবে তখন তারা পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে মিলনের অভাব বেশ করিয়া বুঝিতে আরম্ভ করিবে । যখন আবার তার দুজনে এক হইতে চাহিবে, তখন আমি বলিব, এই যে সম্বন্ধ গড়িয়া উঠিতেছে, এটা নিবিড় এটা টেকসই। ধরা যাউক,—কোনো দেশে কয়েকজনে মিলিয়া একটা কোম্পানী খাড়া করিল, একত্র হইয়া জাৰ্ম্মানি হইতে যন্ত্রপাতি আনিল,