পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

〉>や নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন মুসলমানের পক্ষে ও । একটা বিপুল মুসলমান দুনিয়া আছে। তার ভিতর ঐক্য মোটেই নাই । কিন্তু আমাদের দেশের লোকের ধারণা, মুসলমানেরা ভয়ানক ঐক্যগ্রথিত । যে মুহূন্তে আমরা আরবী, ফাশী আর উচ্চ পড়িতে আরম্ভ করিব সেই মুহূত্তে বুঝিব মুসলমান-ঐক্য বলিয়া সংসারে যে একটা কথা রটিয়াছে তাতে কোনে বস্তু নাই । এই বস্তু-জ্ঞান বাঙ্গালীর ভিতর ছড়াইবার জন্য বাংলাদেশের জেলায় জেলায় অন্ততঃ পাচ সাত জন করিয়া মুসলমান-জুনিয় সম্বন্ধে হিন্দু বিশেষজ্ঞ কায়েম কর। উচিত । এর ফলাফল সম্প্রতি আলোচনা করিতে চাই না। আমার বিশ্বাস, ভারতীয় মুসলমান সমাজে মোসলেম জগতের অনৈক্য সম্বন্ধে জ্ঞানটা বাড়িতে থাকিলে মুসলমানদেবও উপকার বিস্তর । ঈজিপ্টের মুসলমান, তুকাব মুসলমান, পারতের মুসলমান, আফগানিস্তানের মুসলমান, আর চীনের মুসলমান,—ইত্যাদি নিয়ার নানা দেশের মুসলমানের সঙ্গে দস্তরম মহরম আমার কিছু কিছু চলিয়াছে। তাদের হৃদয় আমার খানিকটা জানা আছে । তারা অনেকে আমায় বলিয়াছে— “ভাই হিন্দু, দেশে গিয়া তোদের মুসলমানকে ভারত-মুখে। হঠতে বলিস । আমর ঈজিপ্টের কথাই ভাবি, আমরা তুর্ক-মুখে মুসলমান” ইত্যাদি । এই অনৈকা-নীতি ভারতীয় মুসলমানের ভাল করিয়া বুঝা দরকার । যুবক-ভারতে পাশ্চাত্য মাধ্যাত্মিকতা এইবার দেশোন্নতির চতুর্থ খুটা। আমি প্রায় সকল ক্ষেত্রেই বহুত্ববাদী, কিন্তু যে জায়গায় প্রায় পূরাপুরি ঐক্যবাদী সেট হইতেছে এই যে, পাশ্চাত্য সভ্যতা যুবক ভারতের একমাত্র দীক্ষাগুরু । খোলাখুলি একথা বলিতে আমাদের বুক ফাটিয়া যায়, শুনিতে আরো বিশ্ৰী লাগে। কিন্তু আমাদের বাংলায় সকলের চাইতে বেশী যিনি হিন্দুত্বের প্রতিনিধি