পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>>bア নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন সংস্কৃত জানেন বা বেদান্ত জানেন সেইজন্য লোকের পূজা পান নাই । তার জীবনে একটা দন্তল ছিল,—সা না থাকিলে বিবেকাননের ব ও থাকিত না আনন্দও থাকিত না । সেই দম্ভলট কি , উনবিংশ শতাব্দীর পাশ্চাতা সভ্যতা ; খোলাখুলি একথা স্বীকার করা আমি মনে করি দেশোন্নতির একটি মস্ত খুটা । তুর্ক-জাপানী কায়দা তা যদি সত্য হয় তা হইলে দেখিতে হইবে এই পাশ্চাত্য সভ্যতা আনিতেছে কে ? আমরা ত আনি নাই । এখানেই তফাৎ জাপানীতে আর ভারতবাসীতে,-—তুকে আর ভারতবাসীতে। তফাৎট কোথায় ? জাপান বুঝিয়াছিল, স্বৰ্য্য পূবদিকে উঠে না, স্বৰ্য্য ওঠে পশ্চিমে । চোখের ঠুলি খুলিয়া এ সত্য তারা বুঝিয়াছে। আমরা ভারতে বুঝিয়াছি তার ঠিক উণ্ট । তুর্কী ঠিক জানিয়াছে স্বয যদি উঠে, ত উঠে ভূমধ্য আর আটলান্টিক সাগরের পারে, প্রশান্ত সাগর বা আরবসাগরের পারে উঠে না । ভূমধ্য বা আটলান্টিক সাগর যে পাড়ি দিতে পারিবে সে স্বৰ্য্যরশ্মি কিছু কিছু দেখিবে, এটা তুক বুঝিয়াছে - বস্তুনিষ্ঠ ভাবে বুঝিয়াছে। কোদালকে কোদাল বলিয়া বুঝিয়াছে । তারা বলে, “এই পাশ্চাত্য সভ্যতা আমাদের গুরু । একে যদি হজম করিতে পারি, পাশ্চাত্যের সঙ্গে সেলাম আলেকুম ঠকিতে পারি, ওদেরকে কুণিশ করিতে পারি, ত ওরাও একদিন আমাদের কুর্ণিশ করিবে, আলেকুম সেলাম করিবে এবং আমরা তাদের সমানে সমানে চলিতে পারিব, তা ছাড়া উপায় নাই । এখানে বক্তব্য, জাপান আর তুকীর প্রণালী যা, আমাদের প্রণালী তার উন্ট। জাপান আর তুকা যখন দেখে—ফরাসী বা মার্কিণ আজ