পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মগজ মেরামতের হাতিয়ার > >మ এরোপ্লেন চালাইতেছে, যেই টেলিগ্রামে খবর আসিল, অমনি তারা পাচ জনকে পাঠাইল । বলিয়া দিল, “দেখিয়া আয় ব্যাপার কি ?” তারা চলিয়া গেল নিউইয়র্কে বা প্যারিসে। সেখানে গিয়া কেউ এরোপ্লেন খুজিতেছে, কেউ নক্সা আঁকিতেছে, ছবি তুলিতেছে। ক্রমশঃ কেমিক্যাল এঞ্জিনিয়ার, ইলেক্ট ক্যাল এঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি সব দল বাধিয়া আসিয়া হাজির । আমরা কি করিতেছি ? একশ’ দেড়শ বৎসর ইংরেজের অধীন রহিয়াছি। আমরা ত তা করি নাই। ইংরেজ আমাদের দেশে মেডিক্যাল ইস্কুল করিল। আমাদের মেজাজ, কে যাইবে মেডিক্যাল ইস্কুলে ? গেলে ধৰ্ম্ম যাইবে যে ! অনেক কষ্টে-স্বষ্টে আমাদেরকে মেডিক্যাল কলেজে ঢুকানো হইল। এমন কি যেই সেখানে কিলাম, তোপ পর্যন্ত নাকি পড়িয়াছিল । জলের কল আসিল, আমরা আনি নাই, আনিয়াছে ওরা । এক্ষেত্রেও মেজাজ আমাদের বিচিত্র,—জলের কল স্পর্শ করিব না, জাত যাইবে । হিন্দু ধৰ্ম্মের যারা গোড়া তারাই কি কেবল এই মেজাজ দেখাইয়াছেন ? তা নয়। র্যারা চরম সংস্কারক তারাও অনেকে পাশ্চাত্য সভ্যতাকে “অস্পৃশু” করিয়া রাখিয়াছেন । পাশ্চাত্য সভ্যতা যখন আসিয়া হাজির হইয়াছে, তারাও বলিয়াছেন, “খবরদার, ছুসনি। পশ্চিমারা পাশবিক, অধাৰ্ম্মিক। আমরা আধ্যাত্মিক । দুয়ে বনিবে না।” কেবল গোড়া হিন্দুরা বকে তা নয়, ভারতের হিন্দু মুসলমান সকল সংস্কারকই সমানভাবে এ গোড়ামি চালাইয়াছে। জাপানের প্রণালী কি ? ধরুন অটোমোবিল । জাপানীরা এটা বিদেশ থেকে নিজেই লইয়া আসিল । এরা বুঝিয়াছে, গরুর গাড়ী, ঘোড়ার গাড়ী, রেল গাড়ী ইত্যাদির পরের ধাপ হইল অটোমোবিল। এই ধরণের ধাপে যেই উঠিল তখন নিজ বিদ্যায় যদি না কুলায় তা হইলে ইংরেজ, ফরাসী, জাৰ্ম্মাণ ইত্যাদিকে ভাড়া করিয়া লইয়