পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ગ ૨૨ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন মাঝার সব সমঝিয়া, সস্তা দেখিয়া মজবুত দেখিয় বলে, “এ জিনিষ লইব, ও জিনিষ লহব না।” সে রকম নিজে বাছাই করিয়া পাশ্চাত্য সভ্যতাকে ংলাদেশে আমদানা করা দরকার । য। লইয়া আমাদের দেশের রামা শ্রাম পণ্ডিত হইয়াছে,—আবদুল ইসমাইল মানুষ হইয়াছে,—যাদের লইয়। বাংলাদেশ নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করে, তারা বিদেশী আমদানার উপর নিভর করিয়াছে। তাতে যদি তারা এত বড় হইয়া থাকিতে পারে তবে সেই পাশ্চাত্য সভ্যতাকে এখন নিজেদের লোক পাঠাইয়া নিজ হাতে বাছাই করিয়া আনিলে তার দ্বার। কি না সম্ভব হইতে পারে ? সোজা কথ। এই,—কমসে কম দশ জন লোক প্রত্যেক জেলা হইতে পাঠানে। দরকার। ব্যাপারটা গুরুতর । যাইতে আসিতে লাগে হাজার জুই । পূৰ্ব্বেহ বলিয়াছি তার একবারে নেহাৎ ছাত্র ভাবে যাইবে না, —বিদেশে গিয় লোকজনের সঙ্গে দেখা করিতে হইবে । আলাপ পরিচয় করিতে হইবে । তাদের সঙ্গে খাইতে হইবে, তাদেরকে খাওয়াইতে হইবে । অন্ততঃ সাডে তিন চার বৎসর যদি থাকিতে হয়, থাকিবে । এখন যে রকম খরচ ওসব দেশে, গড়পড়ত। তাতে লোক প্রতি দশ হাজার করিয়া টাক লাগিবার কথা । ত হইলে এই দশ জন লোকের জন্য প্রতি জেলা হইতে এক লাখ করিয়া টাকা তোল! চাহ । কলিকাতার আধিপত্য আমি পছন্দ করি না । মফঃস্বলই আসল জীবন কেন্দ্র । প্রতে,ক জেলার দশজনের ভিতর শূদ্র বৈশ্ব যত রকম জাত আছে সব থাকিবে । বামুন টামুন বুঝি না। এঞ্জিনিয়ার উকিল ডাক্তার প্রত্যেক জেলা হইতে এই ধরণের দশ জনের জন্য যদি একটা লাখ করিয়া টাকা খরচ করা যায়, তা হইলে “আঙ্গুর ফল খাট্ট নয়, আঙ্গুর ফল মিঠেই বটে,” এই কথার পেছনে যে যুক্তি, যে তর্ক-বিজ্ঞান আছে বাংলাদেশের ভিতর সেই যুক্তিশাস্ত্র সেই বস্তুনিষ্ঠা আমাদের একটা জাতীয় সম্পদ হইয়৷