পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S&8 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন AAA AA SAAAAA AAAAeeSAS A SAS AAAeSAeAASAA AAAS আমার কারবার মুড়োগুলিকে জরীপ করা। প্রথমেই দেখি মাথার ভিতর ঘি কতটা আছে, কোন দিকে মাথাটা চলিতেছে ডাইনে কি বায়ে । পুরাণো মগজগুলিতে কি রকম চিন্তা কিলবিল করিত, এখনকার গুলিতেই বা কি রকম করে । দ্বিতীয় নম্বর কারবার হইতেছে মানুষের মুড়োগুলির বাড়া-কমা তদবির করিয়া বেড়ানো । কে বড় হইল, —কে ছোট হইল, কোন মুড়োটা পচিয়। গিয়াছে, কোন মুড়োটা নতুন কিছু করিয়া ছাড়িবে এই সব খোজ করা আমার মুড়ো-তদবির করার সামিল । তৃতায় নম্বর হইতেছে—মানুষের মুড়োর চাষ চালানো। মগজগুলিকে ঘাড়ের উপর ঠিক খড় রাখিয়াই তার আবাদ করিবার চেষ্টা করা হইতেছে এই ব্যবসার অন্তর্গত । দ্যায়-শাস্ত্রের জন্ম,—জীবনের অভিজ্ঞতায় আজ যে কথা বলিতেছি তাতে কাজের কথা পাইবেন না, কোনো কাজের ফদ লইয়। এখানে দাড়াই নাই। নতুন ঢঙের কতকগুলি মুড়ে আবাদ করা যায় কিনা তার কিঞ্চিৎ আলোচন। করা আজকার কাজ । অর্থাৎ নতুন রংএর চিন্তাপ্রণালী বা নতুন ধরণের খেয়াল আজকার আলোচ্য বস্তু । এরই নাম নব্য-স্তায় । আমরা সকলেই ন্যায়শাস্ত্র আলোচনা করিয়া থাকি। মানুষ মাত্রেই নৈয়ায়িক । কিন্তু মামুলি ন্যায়ুশাস্ত্রে আর আমি যে দ্যায়শাস্ত্রের চচ্চা করি তাতে আকাশপাতাল প্রভেদ । তাপনাদের দ্যায়শাস্ত্র থাকে কেতাবে, বিশ্বকোষে —আলমারীতে টেবিল চেয়ারে, ইস্কুল মাষ্টারের দপ্তরে, বড় বড় পণ্ডিতের ঘরে । আর আমি যে দ্যায়ুশাস্ত্রের চচ্চা চালাহয়৷ থাকি সেটা বিরাজ করে রামী-স্যামার ঠাড়িকুড়ির ভিতর, মুড়িমুড়কির ভিতর, প্রতিদিনকার খাওয়াদাওয়ার ভিতর, প্রত্যেক মানুষের উঠাবসার ভিতর ।