পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বদেশ-সেবার নব্য-দ্যায় ১২৫ যখন দেখিতে পাই মজুরের সঙ্গে মনিবের কিছু কোন্দল চলিতেছে তখনই বুঝি কিছু কিছু দ্যায়শাস্ত্র চুয়াইয় পড়িতেছে। আবার যখন মেথরের সঙ্গে মোলাকাৎ হয় তখন কিছু কিছু ন্যায়শাস্ত্র দখল করি । রিশিওয়ালার সঙ্গে যখন কথাবাত্তা বলিয়া তাদের সুখ দুঃখের সঙ্গে পরিচিত হই তখন দেখি যে খানিকটা দ্যায়শাস্ত্র আমার প্রাণে পদার্পণ করিতেছে । যখন স্বামী-স্ত্রার ঝগড়া চলিতে থাকে তখনও আবার নিংড়াইয়া নিংড়াহয় খানিকট ন্যায়শাস্ত্র আমি পাকড়াও করিতে পারি । এই ধরণে যখন যেখানে মানুষের প্রাণ, মানুষের ছায়, মানুষের আশা, মানুষের দীর্ঘনিঃশ্বাস দেখিতে পাই, তখন সেখানে কিছু কিছু দ্যায়শাস্ত্র আমার সঙ্গে দেখা করে । দেখিতেই পাইতেছেন—ঝালে ঝোলে অম্বলে, ছেলেছোকরাদের হ&েলে-মেসে, প্লামার-খালাসাদের ইউনিয়নে, কেরাণীদের ঘোটমঙ্গলে,—মত রাজ্যের জায়গায় হইতে পারে,—সৰ্ব্বত্র চলিতেছে আমার দ্যায়শাস্ত্রের চচ্চ। প্রত্যেক বিন্দু মাথার ঘাম আর প্রত্যেক মাংসপেশীর নড়নচড়ন এক একটা স্থায়ুশাস্ত্রের প্রতিমূৰ্ত্তি । অর্থাৎ এই যে মানব-জীবন, মানুষের প্রত্যেক চিন্তা, প্রত্যেক কাজ, প্রত্যেক অভিজ্ঞতা, এর কোথাও হায়শাস্ত্র বাদ পড়ে না। কাজেই বুঝা যাইতেছে মামুলি স্যায়শাস্ত্রে আর আমার দ্যায়শাস্ত্রে প্রভেদ কত বড়। স্বদেশ-সেবা ও স্বরাজ-সাধন। আমি আজকে স্বদেশ-সেবার কথা বলিতেছি, স্বরাজ-সাধনা বা স্বরাজসেবার কথা বলিতেছি না। এখানে মামুলি ন্যায়শাস্ত্রে আর নব্য-দ্যায়ে একটা বড় প্রভেদ । মামুলি ন্যায়শাস্ত্রের চিন্তায় স্বরাজ-সাধনা ও স্বদেশসেবা প্রায় এক বস্তু। আলজেরায় “ইকুয়েশন” বা সাম্যের চিহ্ন ব্যবহার করা দস্তুর । তেমনি মামুলি ন্যায়শাস্ত্রের বিধানে স্বরাজ-সেব আর স্বদেশ সেবা ঠিক যেন একই সাম্য-সংযোগের দুই তরফ মাত্র । -ایات = عسے٭-ایسےہی- جےسےبیان۔