পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৬ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন اجرا میی یحیی مافیایی ۳-۹ কিন্তু নব্য-ন্যায় বলিতেছে—এই “ইকুয়েশন” বা সাম্য-সম্বন্ধটা সকল ক্ষেত্রে যুক্তিসঙ্গত কিনা সন্দেহ। এই দুই জিনিষে কমসে কম তিন চার রকম পরস্পর সম্বন্ধ দেখিতে পাওয়া সম্ভব, যথা—(১ ! স্বদেশ সেবা যে করিতেছে সে হয়ত স্বরাজ কোনো দিন নাও আনিতে পারে ( 2 ) যে লোকটা স্বরাজ স্বরাজ করিয়া বেড়ায় সে লোকটা হয়ত একদম স্বদেশসেবক নয়। (৩) স্বদেশ সেবা করিতে করিতেই স্বরাজটাকে আনিয়া হাজির করা হয়ত একদম অসম্ভব নয় 8 ) স্বরাজ-সেবকেরা কেহ কেহ হয়ত স্বদেশ-সেবক ও বট । দেখাই যাইতেছে যে, আমি তকশাস্কের কচ কচানির ভিতর আসিয়া পড়িয়াছি । মোটের উপর যখন-তখন যেখানে-সেখানে স্বরাজসাধনা আর স্বদেশ-সেবাকে একার্থক বিবেচনা করার বিরুদ্ধে একটা সন্দেহ স্বষ্টি করা নব্য-দ্যায়ের বিপুল কাজ। এই সংশয়-বাদ যদি জাগিয়া উঠে তা হইলে বুঝিব নব্য-দ্যায়ের কাজটা চলিতেছে ভাল । বিদেশ-দক্ষতা ও স্বদেশ-সেবা আগেই বলিয়াছি যে, আমার ন্যায়-শাস্ত্র যেখানে সেখানে ঘুরিয়া বেড়ায়—ইস্তক জেলখানা পর্য্যন্ত । সুভাষ বাহির হইয়া আসিল জেলখানা হইতে । অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের লোক আসিয়া হাজির আমার কাছে । বলিল “নান লোকে নান। প্রকার মত দিতেছে। তোর কি বক্তব্য ?” জবাব দিলাম,—“সুভাষ, যাও চলিয়া ইয়োরোপে, যাও চলিয়া আমেরিকায়, যাও চলিয়। জাপানে” ইত্যাদি । মজার কথা, সেই সময়ে দেশের লোকে সকলে বলিতেছে—টেলিগ্রামের পর টেলিগ্রাম, চিঠির পর চিঠি আসিতেছে, সকলে বলিতেছে—“যাক বাচা গেল, ঘরের ছেলে ঘরে ফিরিয়া আসিল ।” অতএব বুঝুন নব্য-স্যায়ে আর মামুলি ন্যায়ে তফাৎ