পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বদেশ-সেবার নব্য-স্যায় >Հ Գ কতটা । তারপর দেশের লোক সকলে সুভাষকে পরামর্শ দিতেছে, বলিতেছে, “সুভাষ, লাগিয়া যা আবার দেশের কাজে । নব্য ন্তায় অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের মারফতে বলিয়াছিল,—“সুভাষ, থাকে। ভুলিয়া দেশটাকে ২৪৫৭ বৎসরের জন্ত । অবশু আমার কথাটা শুনিবার জন্ত তার মাথ। ব্যথ পড়ে নাই। বুঝুন মামুলি দ্যায়ে আর নব-স্তায়ে ফারাক কি মারাত্মক রকমের । সরকারী তদন্তগুলার ধরণ-ধারণ প্রশ্ন হইতেছে—নব্য-ন্তায় এতটা বিদেশী-আন্দোলন, দুনিয়া-দক্ষতা, বিশ্ব-নিষ্ঠ প্রচার করিতেছে কেন ? কথাটা অতি সোজ । একটা দৃষ্টাস্তে পরিষ্কার হইবে । ১৯১৫ হইতে ১৯২৭ সন এই এগার-বার বৎসরের ভিতর আপনার দেখিয়াছেন গভর্ণমেণ্ট কতকগুলি কমিশন বসাইয়াছে। একটার নাম শিল্প (ইণ্ডাষ্টিয়াল ) কমিশন আর একটার নাম খাজনা তদন্ত সমিতি ( ট্যাসেখন এনকোয়ারী কমিটি), তার একটার নাম আর্থিক অনুসন্ধান সমিতি ( ইকনমিক এনকোয়ারা কমিটি ), একটার নাম শুল্ক তদন্ত সমিতি আর একটার নাম কারেন্সী কমিশন । এই সবগুলা আমার বিদেশে থাকার সময় বসিয়াছিল । আসিয়া দেখিতেছি কৃষি-কমিশন বসিল । কালকে হয়ত বসিবে শাসনপ্রণালী সম্পৰ্কীয় ( কনষ্টিটিউশন্তাল ) কমিশন। এই পাচ সাতটা কমিশন আপনারা চোখের সামনে দেখিতেছেন বসিয়াছে। এখন জিজ্ঞাসা করিতে চাই, এই কমিশনগুলির কার্য্য প্রণালী কিরূপ? প্রথমতঃ, এই কমিশনের সভায় দুই ধরণের লোক বসে :– (১) ইংরেজ, সাদা চামড়াওয়ালা, (২) ভারত সন্তান । এই কমিশনগুলির ভিতর দেখিতে পাইতেছেন—বিদেশী আদ্‌মি রহিয়াছে। আপনার