পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> Rbr নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন বলিতে পারেন—দেশটা যখন সাদা চামড়াওয়ালাদের তখন কমিশনগুলির ভক্তর বিদেণ মুড়ে থাকিবে তাতে আশ্চৰ্য্য কি ? এখানে বলিতে চাই কারণটা কি তার আলোচনার প্রয়োজন নাই, দেখিতেই পাইতেছেন— বত্তমান ভারতটকে চালাহবার জন্য যে-কয়ট অনুসন্ধান-সমিতি বসিয়াছে, তার ভিতর কতকগুলি বিদেশী মুড়ে। আছেই আছে । এই গেল 2 것g| | দ্বিতীয়তঃ এই কমিশনগুলির কাজ কৰ্ম্ম কিছু বিচিত্র রকমের । ওরা ভারতবর্ষের এক একটা সতরে আসিয়। কতকগুলি লোকের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করে, সাক্ষীর জবানবন্দী লয়। কিন্তু মাত্র এতে সানায় না । কমিশন ভারতের অনুসন্ধান খতম করিয়া ইংরেজ সমাজে যায়। সেখানে গিয়া ইন্দ্র-চন্দ্র-বরুণ-যম সকলকে ডাকিয়া বলে, “ভারতবর্ষে একটা কিছু করা হইতেছে, তোদেব কি মতামত ? কি করিলে দেশটা উন্নত হইবে মনে করিস ?” তার পর মাসতুত ভাই মাকিণকে ডাকিয়৷ পাঠায়। ফরাসী জাম্মাণ ইতালিয়ানদের এখনো বড় একটা ডাকে না । তবে দুনিয়ার মাথাওয়াল লোকের সঙ্গে কথাবান্ত চলানে। একটা প্রধান দস্তুর বেশ বুঝ। যাইতেছে। অর্থাৎ ভারতবর্ষকে উন্নত করিবার জন্য যতগুলি প্রণালী আছে তার ভিতর একটা প্রণালী হইতেছে বিদেশী মুড়োগুলির মতামত গ্রহণ কর। তার পর কমিশনের রিপোর্ট ছাপা হইয়া বাহির হয় । সেই রিপোটে কি থাকে ? বঙ্গালার। কয়জন সেই রিপোট পড়িয়া দেখেন জানিন। তবে আমাদের খবরের কাগজওয়ালারা অবশু সে সব পড়িতে বাধ্য ! সূচাপত্র খুলিলে দেখা যায় যে, ভারত বর্তমানে কি অবস্থায় আসিয়া পৌছিয়ছে একথা ত থাকেই, তার সঙ্গে সঙ্গে কমিশনের রিপোটগুলোয় আর একটা নতুন জিনিষ থাকে কিছু কিছু। সেটা হইতেছে